ভালো নেই চার শতাধিক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী রেহানা জলি

ভালো নেই চার শতাধিক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী রেহানা জলি

ভালো নেই চার শতাধিক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী রেহানা জলি, যিনি চলচ্চিত্রে ‘মা’ হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে তিনি অসুস্থ হয়ে বিছানায় দিন কাটাচ্ছেন। গুণী অভিনেত্রী রেহানা জলির অসুস্থতার খবর কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান তার ছোটবোন লাইজু। তিনি বলেন, আমার বোনটা ভালো নেই। সে গুরুতর অসুস্থ। পাঁচ মাস ধরে কোনো কাজ করতে পারছে না।

 

লাইজু বলেন, প্রথম আমরা বুঝতে পারিনি যে আপার সুস্থতা এতো বেড়ে যাবে। দিনের পর দিন আপা দুর্বল হয়ে যাচ্ছিল। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতো। তারপর বেশ কয়েকজন ডাক্তারকে দেখাই। কেউ রোগ নির্ণয় করতে পারছিলেন না। আমাদের পারিবারিক এক চিকিৎসকের পরামর্শে আপাকে বক্ষব্যাধি স্পেশালিষ্ট আক্তার বিশ্বাসকে দেখাই। তখন ওই ডাক্তার জানান, ফুসফুস ও মেরুদণ্ডে ক্ষয়ে যাওয়া রোগে ভুগছেন।

 

তিনি বলেন, প্রতিমাসে একবার করে মগবাজারে ডাক্তার আক্তার বিশ্বাসের চেম্বারে চেকআপ করাতে হচ্ছে। শরীর বেশি খারাপ হলে পনেরদিন পরপর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। এখনও আপা তার নিউ ইস্কাটনের বাসায় বিছানায় পড়ে আছেন। শেষ পাঁচ মাস ধরে এই অবস্থায় আছেন। ছয়মাস আগে ‘ফুলবানু’ ছাড়া নতুন ছবির কোনো শুটিংও করতে পারছে না। নতুন নতুন ছবির প্রস্তাব আসছে, কিন্তু সব ছেড়ে দিতে হচ্ছে।

 

কান্নায় ভেঙে পড়ে রেহানা জলির ছোটবোন লাইজু বলেন, গতবছর জুলাইয়ে আমাদের মা মারা যাওয়ার পর আপার শরীর বেশি খারাপ হয়। আপা সারাজীবন খেটে আমাদের নয়জনের পরিবার চালিয়েছেন। আমাদের কথা চিন্তা করে উনি নিজের সংসারের কথা ভাবেননি। আমার বোনটার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

 

কান্নায় ভেঙে পড়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে রেহানা জলি বলেন, সুস্থতা কামনা করে দোয়া চাওয়া ছাড়া আমার আর কিছু বলার নেই। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে কিছু টাকা সঞ্চয় করেছিলাম, সব এখন চিকিৎসার পিছনে ব্যয় করতে হচ্ছে। আমি সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফিরতে চাই, সবাই আমার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করবেন।

 

রেহানা জলি দীর্ঘদিন মঞ্চনাটকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছেন। ১৯৮৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। বুলবুল আহমেদের বিপরীতে কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে রেহানা জলির যাত্রা শুরু হয়। প্রথম চলচ্চিত্র অভিনয় করেই ১৯৮৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।