ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ‘কুৎসিত রূপ’ প্রকাশ্যে আনলেন ইরফান পাঠান!

ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ‘কুৎসিত রূপ’ প্রকাশ্যে আনলেন ইরফান পাঠান!

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরফান তার সময়কার ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ভেতরকার কথা ফাঁস করেছেন।

ভারতের অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত ছিলেন ইরফান পাঠান। তার বাঁহাতের বাঁকানো সুইং বল সমস্যায় ফেলত বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের। শুধু বল নয়, ব্যাট হাতেও দেশের জার্সিতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন তিনি। 

যদিও ব্যাটে-বলে নজরকাড়া পারফরম্যান্সে ক্রিকেট বিশ্বের প্রশংসা কুড়ালেও সে সময় নিজ দলের ড্রেসিংরুমেই হিংসার শিকার হয়েছিলেন ভারতীয় এই অলরাউন্ডার।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরফান তার সময়কার ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ভেতরকার কথা ফাঁস করেছেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই অলরাউন্ডারের দাবি, সেখানে একাধিক ক্রিকেটার তাকে হিংসা করত।

হিংসার পরিমাণ এতটাই ছিল যে ড্রেসিংরুমে প্রকাশ্যেই ইরফানকে কটু কথা বলতেন একাধিক ভারতীয় ক্রিকেটার। এ প্রসঙ্গে ২০০৩ সালে ভারতীয় জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটা এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘এক ক্রিকেটার তো প্রকাশ্যেই একবার চিৎকার জুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ইরফানকে না পাঠিয়ে আমাকে পাঠাও।’

ইরফানের ব্যাটিং দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে নিয়ে এসেছিলেন কোচ গ্রেগ চ্যাপেল।অনেক ক্রিকেটারই ব্যাটিং অর্ডারে ইরফানের এই তিন নম্বরে ওঠে আসা মেনে নিতে পারেননি বলে দাবি করেন এই অলরাউন্ডার।

তার সময়ে ভারতীয় ড্রেসিংরুমের এমন নোংরা চিত্রের কথা প্রকাশ করলেও সতীর্থ শচিন টেন্ডুলকারের প্রশংসা করতে ভোলেননি তিনি। এ ব্যাপারে দেশের জার্সি গায়ে ২৯টি টেস্ট, ১২০টি ওয়ানডে ও ২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলা ইরফান বলেন, ‘নেটে শচীন আমাকে বলতো, তোমার মতো সুইং বোলার আমি দেখিনি।’ 

ভারতের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২৮২১ রান ও ৩০১টি উইকেটের মালিক ইরফান পাঠানের ভাষ্যমতে, ভিভিএস লক্ষ্মণও নেটে তার বল খেলতে সমস্যায় পড়তেন। আর শুধু সতীর্থরাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহও এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ইরফানের বল ঝামেলায় ফেলত তাকেও। 

পাঠান জানিয়েছেন, সেই সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে ব্যাট করছিলেন তিনি। তার ব্যাটিং দক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে টিম ম্যানেজমেন্টও তিন নম্বরে তুলে আনে তাকে। ব্যাটিং অর্ডারে পাঠানের সেই উত্তরণ সহ্য করতে পারেননি অনেক ক্রিকেটার। নাম না করে পাঠান সেই সময়কার ভারতীয় দলের সাজঘরের ছবিটা তুলে ধরেছেন। 

 

সংশ্লিষ্ট সাক্ষাৎকারে শচীন টেন্ডুলকরের ভূয়ষী প্রশংসা করেছেন পাঠান। তিনি বলেছেন, ‘‘নেটে শচীন আমাকে বলতো, তোমার মতো সুইং বোলার আমি দেখিনি।’’ পাঠানের কথায়, ভিভিএস লক্ষ্মণও নেটে তার বল খেলতে সমস্যায় পড়তেন। শুধু সতীর্থরা কেন, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহও স্বীকার করেছিলেন, পাঠানের বল ঝামেলায় ফেলত তাকেও।