নিহত ২৬ সিরিয়ায়, তুরস্কের বিমান হামলায়

নিহত ২৬ সিরিয়ায়, তুরস্কের বিমান হামলায়

সিরিয়ার আফ্রিনে সরকারপন্থি বাহিনীর ওপর তুরস্কের বিমান হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা।

 

শনিবার আফ্রিনের কাফর জিনা এলাকায় সরকারিপন্থি বাহিনীর একটি শিবিরে হামলাটি চালানো হয় বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

 

তুরস্কের যুদ্ধবিমানগুলো এ নিয়ে পূর্ববর্তী ৪৮ ঘন্টায় তৃতীয়বারের মতো আফ্রিনে সরকারপন্থিদের শিবিরে হামলা চালিয়েছে বলে অবজারভেটরি জানিয়েছে। এর পাশাপাশি তুরস্ক সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতেও হামলা জোরদার করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠনটি।

 

কুর্দিদের ওয়াইপিজি বাহিনীকে সমর্থন দিতে গত সপ্তাহে আফ্রিনে প্রবেশ করে সিরিয়ার সরকারপন্থি বেসামরিক বাহিনী। জানুয়ারিতে এই এলাকায় অবস্থানরত ওয়াইপিজি বাহিনীকে হটিয়ে দিতে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক ও এর সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীরা।

 

ওয়াইপিজির নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টি পর্যন্ত সিরিয়ার সেনাবাহিনীর ‘পপুলার ফোর্সেস’ এর অবস্থানের ওপর হামলা চালিয়েছে তুরস্কের যুদ্ধবিমানগুলো। তবে কোথায় এসব হামলা চালানো হয়েছে এবং এতে কতোজন নিহত হয়েছেন, সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।

 

তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম জানিয়েছেন, তার দেশের বাহিনীগুলো ‘জঙ্গিদের’ কাছ থেকে সিরিয়ার রাজো শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।

 

আফ্রিন শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে রাজো শহরটির প্রায় ৭০ শতাংশ তুরস্কের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে অবজারভেটরি।

 

এসডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুর্কি বাহিনীর একটি দল ও তাদের মিত্র সিরীয় বাহিনী রাজোতে ঢুকে পড়েছে, সেখানে এসডিএফ বাহিনীর সঙ্গে ‘হামলাকারীদের’ সংঘর্ষ চলছে।

 

ওয়াইপিজিকে তুরস্কের নিষিদ্ধ ঘোষিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বর্ধিতাংশ বলে বিবেচনা করে তুরস্ক। পিকেকে তুরস্কের কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে স্বায়ত্তশাসিত একটি কুর্দি প্রদেশের দাবিতে তিন দশক ধরে সশস্ত্র বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে।

 

এই গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও তুরস্ক। অপরদিকে সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াইপিজি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।