টানা তিন ম্যাচ জিতে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। পরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে দু’টি ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক জয়ে সবার আগে ফাইনালে রোহিতরা। ভারতের সঙ্গে ফাইনালে কে যাবে, সেটি নির্ণয়ের জন্য শুক্রবার মাঠে নামে বাংলাদেশ।
আয়োজকরা ধরেই নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা ফাইনালে!
নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দেখায় মুশফিকের অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসে ২১৫ রানের টার্গেট রেকর্ড গড়ে জিতে বাংলাদেশ। অলিখিত সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেলেও তামিম, মুশফিকের ব্যাটে জয়ের আশা টিকে থাকে টাইগারদের।
শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৪৩ রানে অবিশ্বাস্য জয় পায় বাংলাদেশ। ফলে আগামী ১৮ মার্চ কলম্বোয় ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তবে বিপত্তি বেঁধেছে অন্য জায়গায়। শ্রীলঙ্কা নাকি বাংলাদেশ, ফাইনালে উঠার জন্য দুই দলের লড়াইয়ের আগেই আয়োজকরা শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে নিয়ে যায়!
বিষয়টি অবাক করার মত হলেও সত্যি। ফাইনালে কোন দল যাবে সেটি নির্ধারণ হাওয়ার আগেই অথিতিদের জন্য গাড়ি পাস ছাপিয়েছে আয়োজকরা। গাড়ি পাসের ব্যানারে ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কাকে ফাইনাইলিস্ট হিসেবে ধরেই নিয়েছিল তারা। বিষয়টি চোখে পড়েছিল বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয়ের।
বিষয়টি তাঁর নজরে এলে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরেন বিসিবি পরিচালক। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে শুরু হয় তুমুল সমলোচনা। ফাইনালিস্ট দল নির্ধারণ হওয়ার আগেই কীভাবে গাড়ি পাস ছাপানো হয়! বিষয়টি বিসিবি প্রধানের নজরে এসেছে কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। আনুষ্ঠানিক কোন মন্তব্যও করেনি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।
তবে আর যাইহোক আয়োজকদের জবাবটা কড়া ভাবেই দিতে পেয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের ৭০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নিদাহাস ট্রফিতে, তাদেরকেই দর্শক বানাল বাংলাদেশ দল। আগামীকাল ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। বেশ কয়েকবার কোন সিরিজে ফাইনালে উঠা হলেও ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। এবার হয়ত সেই আক্ষেপ গুচাবে বাংলাদেশ।