স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুক্রবারের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে অনেক ঘটনার অবতারণা হয়েছিল। যা সবাই ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন। ম্যাচ শেষে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ড্রেসিংরুমের একটি কাঁচের দরজা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। এএফপির মত খ্যাতিমান সংবাদ সংস্থাগুলো এই ভাঙা কাঁচের ছবি প্রকাশ করে। শুরু হয়ে যায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা এবং কিছু ভুঁইফোর মিডিয়া দাবি করতে শুরু করে যে, লঙ্কান সমর্থকরাই পরাজয়ের ক্ষোভে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অবশ্য গ্যালারিতে পুলিশের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি সমর্থকদের ওপর হাত তোলার অভিযোগ আছে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে।
কিন্তু ড্রেসিং রুমের মত সুরক্ষিত জায়গায় কাঁচ ভাঙল কে? বিবিসি বাংলার মত সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, বাংলাদেশি ক্রিকেটাররাই নাকি ড্রেসিংরুম ভাঙচুর করেছে! কিন্তু আসলে কী ঘটনা ঘটেছিল? এখানেই শেষ হয়নি। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের কাঁচ পাওয়া গেছে ভাঙা অবস্থায়। প্রতিশোধপ্রবণ হয়ে শ্রীলঙ্কার সমর্থকরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছে অনেকেই।
বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের কাঁচ ভাঙল কে?
বাংলাদেশ দলের একটি সূত্র মারফত বিষয়টি পরিস্কারভাবে জানা গেছে। সূত্রের দাবি, আসলে সেখানে ভাঙচুরের মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশি ক্রিকেটাররাই ম্যাচ জয়ের আনন্দ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশতঃ দরজাটি ভেঙে ফেলে! এটা স্রেফ অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা বলেই বলা হচ্ছে বাংলাদেশ শিবির থেকে। এরপরেও ঘটনা এখানেই থেমে নেই, বিষয়টি নজরে এসেছে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের।
ব্রড ধারণা করছেন, জয়ের পর আনন্দ করতে গিয়েই ভেঙ্গে গেছে কাঁচের দরজাটি। এর জন্য দায়ী হতে পারে বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়। তবে এটা ইচ্ছেকৃত কোনো কাজ নয়। ব্রড যে ফুটেজ দেখেছেন, সেটাকে পর্যাপ্ত মনে করছেন না। তিনি বাহিরের দিকের ফুটেজ দেখে তারপর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
কথিত ভাঙচুরের ঘটনার তদন্তে নেমে বাংলাদেশ দলের আপ্যায়নে নিয়োজিত কর্মীদের সাক্ষ্য নেন ব্রড। তাতে একজন ক্রিকেটারকের সনাক্ত করেছেন তিনি। তবে দিনশেষে তার মনে হয়েছে, ঘটনাটি নিছকই অসাবধানতাবশতঃ হয়েছে।
এতে ওই ক্রিকেটারের সরাসরি কোনো দোষ নেই। এরপরেও তিনি আরও তথ্য প্রমাণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আইসিসির পক্ষ থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি। নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় মুখোমুখি লড়াইটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বেশ কয়েকটি বিতর্কের কারণে।