যে মোবাইলের মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট দলের পেসার মহম্মদ শামির যৌন কেচ্ছা ধরা পড়েছিল, সেই মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করল লালবাজার৷
সোমবার শামির স্ত্রী হাসিন জাহান লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে সেই মোবাইলটি তুলে দেন৷ এবার মোবাইলটিকে ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে গোয়েন্দারা৷
লালবাজার সূত্রে খবর, ওই মোবাইল থেকে কার কার সঙ্গে শামির কথোপকথন হয়েছে৷ কোন নম্বর ব্যবহার করে বিদেশি মহিলাদের সঙ্গে শামি কথা বলত এবং চ্যাট করত তা জানা যাবে৷ কতজনের সঙ্গে শামির যোগাযোগ ছিল৷ মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে চ্যাট করতেন শামি নাকি বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ওয়াইফাই ব্যবহার করে কথা বলতেন, তা জানা যাবে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টে৷ পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের চ্যাট রেকর্ডও উদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে জানা গিয়েছে৷
এদিন লালবাজারে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান প্রবীন ত্রিপাঠি জানান, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে শামি কোন সময়, কোন রুটে দেশে ফিরেছিলেন তা জানতে চেয়ে বিসিসিআইকে চিঠি দেওয়া হয়েছে৷ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পথে দুবাইতে তিনি কতদিন ছিলেন, সেখানে কোন হোটেলে ছিলেন সেই ব্যাপারেও বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, দুবাইতে শামি এক পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷
সূত্রের খবর, তদন্তের গতি বাড়াতে খুব শীঘ্রই আলিপুর আদালতে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে৷ লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শামির স্ত্রীর হাসিনও লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে আরও বেশকিছু তথ্য তুলে দিয়েছেন৷ তার ভিত্তিতেই হাসিনের সঙ্গে মূল অভিযোগের বিষয়ে কথা বলা বলেছে গোয়েন্দারা৷ তার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে৷ জিজ্ঞাসাবাদ পর্বটির ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
অন্যদিকে, এদিনই উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতা এসেছেন শামির বাবা-কাকা-সহ পরিবারের চারজন৷ তাঁরা ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাসিনের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন৷ আদালত সূত্রে খবর, দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার পরে তাঁরা হাসিনের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন৷ পাশাপাশি, বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেন৷