ওই ওভারের আগপর্যন্ত ম্যাচে নিজেদের সেরা বোলার ছিলেন তিনিই। ৩ ওভারে ৩৫ রান প্রয়োজনের সময় মোস্তাফিজ যখন কেবল একটি বাই রান দিয়ে গেলেন, ১৯তম ওভারে তখন সেরা রুবেলের হাতে বল দিতে দুবার ভাবেননি সাকিব। কিন্তু টাইগার পেসার ২২ রান দিলে ম্যাচটা হেলে যায় ভারতের দিকে। এরপরও রুবেলে ভরসা হারাচ্ছেন না অধিনায়ক। সাকিব বরং বলছেন, ভবিষ্যতেও দরকার হলে এমন সময়ে রুবেলেই আস্থা রাখবেন।
রুবেলের ওভারের পর অনিয়মিত বোলার সৌম্যর খুব বেশিকিছু করারও ছিল না। শেষ ওভারে সৌম্য তবু চাপের সময়ে একেবারে খারাপ করেননি! যদিও সফল হননি। কিন্তু সৌম্যর আগে রুবেলের নামটাই আসবে শেষের ব্যর্থতার ময়নাতদন্তে। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর ম্যাচে শেষ সময়ে দুর্দান্ত বোলিং কিংবা নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার সিরিজে ধারাবাহিকতা, এমন আরও অনেকবার আস্থার প্রতিদান দেয়ার নজির আছে রুবেলের। টাইগার পেসারের সেসব তো মিছে নয়। সাকিব তাই ভরসাই রাখছেন।
‘সত্যি বলতে, রুবেল খুব মিস করেনি। যে জায়গায় বল করার কথা, মিস করেছে অল্পের জন্য। এরকম হয়ই। কার্তিকও অসাধারণ ছিল। রুবেল প্রথম ২ বলে ১০ দিয়ে হয়ত একটু নার্ভাস হয়ে পড়েছিল। এটা হয়। শেষদিকের ওভারে তারপরও সে আমাদের সেরাদের একজন। আবারও একই রকম পরিস্থিতি এলে আমি রুবেলের হাতেই বল দেব।’
১৯তম ওভারের দুঃসময়ের আগে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন রুবেলই। সর্বোচ্চ চেষ্টায় কোন ঘাটতি রাখেননি এই পেসার। কিন্তু ২২ রানের ওভারের পর আগের সব ঢাকা পড়ে গেছে। তাই ওই ওভার রুবেলকে দেয়া বা শেষ ওভারে সৌম্যকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বারবার বলতে হচ্ছে সাকিবকে।
‘আমাদের সেরা বোলারকেই ১৮ ও ১৯তম ওভারে আনতে চেয়েছি। রুবেল যদি ওভারটায় ১৫ রান দিত, হয়ত আমরা পরের ওভারে সামলে নিতে পারতাম। সে বোলিং লেংথে খুব ভুলও করেনি, কার্তিককে কৃতিত্ব দিতেই হচ্ছে। আমরা আশাবাদী ছিলাম। সবাই সেরাটা দিয়েছে, শতভাগ।’