যুক্তরাষ্ট্রের ১২ টি রাজ্যের ২৪টি স্কুল বোর্ডের ৭শ ৩০টি স্কুলে অভিবাসী শিশুদের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছে সিভিল রাইটস প্রজেক্ট। ৫ হাজার ৪'শ শিক্ষকের শতকরা ৬৪ ভাগ জানিয়েছেন, তাদের কাছে শিশুরা পরিবারের সদস্যদের বহিষ্কারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শুধু তাই নয়, ৮৫ শতাংশ শিক্ষক নিজেরাও বিষণ্ণতা এবং মানসিক চাপের শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল রাইটস প্রজেক্ট এর যৌথ পরিচালক প্যাট্রিসিয়া জান্দারা।
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কার অভিযানের কারণে সেখানকার অভিবাসী বহু শিশু ও স্কুল শিক্ষার্থীর মধ্যে মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিষণ্ণতা আর অস্থিরতায় ভুগছে ভীতসন্ত্রস্ত শিশুরা। সম্প্রতি লস এঞ্জেলসের 'ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া'র এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের হার কোথাও ৮০ শতাংশ পর্যন্ত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আশি শতাংশ শিশু মানসিক ও অস্বাভাবিক আচরণ জনিত সমস্যায় ভুগছে। পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার ও বহিষ্কারের ভয়ে অনেকই ক্লাসে আসছে না, বাবা মা'র বহিষ্কারে তাদেরকেও ধরতে স্কুলে ইমিগ্রেশন পুলিশ আসবে এমন ভীতি সবসময়ই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে কোমলমতি এই শিশুদের। এতে করে শিশুরা চরম মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মত দেয় সিভিল রাইটস প্রজেক্ট।
স্কুল কমিটির নির্বাহী পরিচালক ড্যান ডোমেনেক বলেন, শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা শিক্ষকদের দায়িত্ব, কিন্তু এখন তার নিরাপদ বোধ করছেনা। সাম্প্রতিককালে স্কুলে গোলাগুলির ঘটনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তুলেছে। সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শিশুদের অস্বাভাবিক আচরণে উদ্বেগ জানিয়েছেন অভিভাবকরাও।
তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা এটাই আশা করব যেন কোনো বাচ্চা বিদ্যালয়ে গিয়ে মানসিক চাপে না ভোগে। তারা যাতে ক্লাস করে সুস্থভাবে বাসায় ফিরে যেতে পারে সেটাই আমাদের কাম্য।
স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের সংখ্যা বাড়ার কারণে জরিপ উদ্যোগ নেয়া হয় বলে জানিয়েছে লস এঞ্জেলসের 'ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া'র সিভিল রাইটস প্রজেক্ট।