অনেকটা কাছে গিয়ে ফিনিশিংয়ের অভাবে ম্যাচ হারের একটা অভ্যাসই প্রায় গড়ে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে। ঘরের মাঠে চলতি বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইংয়ে সেটা আরো একবার দেখাল তারা। এবার ফলাফল গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে।
নিজেদের রেকর্ড পঞ্চম সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের দরজার কাছে পৌঁছে গেছে ক্যারিবীয়রা। সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ নিশ্চিত গেইলদের।
ব্রেন্ডন টেলর তার ক্যারিয়ারের দশম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেলেও অন্যদের ভাল সহযোগিতা না পাওয়ায় ২৮৯ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। জবাবে শুরুতে ক্রিস গেইলের উইকেট হারালেও মারলন স্যামুয়েলস ও সাই হোপের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে সুযোগ আছে জিম্বাবুয়েরও। শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জিতলেই ইংল্যান্ড যাত্রা নিশ্চিত তাদের।
জিম্বাবুয়ের তিনশ ছুঁই ছুঁই স্কোরে মূল অবদান টেলরেরই। ১২৪ বলে ২০টি চার ও দুই ছক্কায় ১৩৮ রান করেন তিনি। স্বাগতিকদের হয়ে ওপেনার সলোমন মিরে ৪৫ ও শেন উইলিয়ামস ৩৪ ছাড়া কেউ উল্লেখ করার মত রান করতে পারেননি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজদের হয়ে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সফল বোলার অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। কেমার রোচ নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি উইকেট গেছে কিমো পাওয়েলের পকেটে।
জিম্বাবুয়ে ইনিংসের জবাব দিতে নেমে শুরুটা তেমন একটা ভাল হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দলীয় ৩৮ রানে আউট হন ক্রিস গেইল(১৭)। তবে তৃতীয় উইকেট স্যামুয়েলস ও হোপের ১৩৫ রানই জয়ের ভিত গড়ে ক্যারিবীয়দের। এ দুজনের আগে এভিন লুইসের গতিশীল ৬৪ রানও দারুণ অবদান রেখেছে জয়ে।
৮০ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন স্যামুয়েলস। ছয়টি চার ও চারটি বিশার ছক্কার মার তার ইনিংসে। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। স্যামুয়েলসকে দারুণ সঙ্গ দেন ৭৬ রান করা হোপ। ৯৭ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দাপটের পরও আচমকা ম্যাচে ফিরেছিল জিম্বাবুয়ে। সিমরোন হেটমেয়ার (১৩) ও হোল্ডারকে (৬) ফিরিয়ে জয়ের আশা জাগিয়েছিল তারা। কিন্তু কিমো পাওয়েলের ১২ বলে ১৫ ও অ্যারন নার্সের ৮ বলে ৮ রান ৬ বল হাতে রেখেই জয় এনে দেয় ক্যারিবীয়দের।