রূপগঞ্জের দেয়া লক্ষ্যটা বড় ছিল না। মাত্র ২০৫। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের অস্বাভাবিক মন্থর উইকেটে এ রান টপকানো কঠিন হতে পারত। তবে তা হতে দেননি শাহরিয়ার নাফীস। এ বাঁহাতি ওপেনারের ৮২ রানের ইনিংসে ৬ উইকেটে জিতেছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করল তারা। অবনমন এড়াতে তাদের লড়তে হবে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ও বাদ্রার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে।
রূপগঞ্জের হারে অধরা থেকে গেল আবাহনী। লিগের শুরু থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা আবাহনীকে স্পর্শ করার সুযোগ ছিল মুশফিক-নাঈমদের সামনে। আবাহনী ১৬ ও রূপগঞ্জ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করেছে রাউন্ড রবিন লিগ।
২০৫ রান তাড়া করতে নেমে মন্থর উইকেটে খুব সাবধানে ব্যাট চালাতে হয়েছে অগ্রণীর ওপেনারদের। নাফীস উইকেটের সঙ্গে শুরু থেকে মানিয়ে নিলেও কলম্বো থেকে ফেরা সৌম্য সরকার খেলেছেন সতর্ক হয়ে। এ বাঁহাতির ৬৬ বলে বাউন্ডারিহীন ২৪ রানের ইনিংস সে সাক্ষ্যই দিচ্ছে।
সৌম্য যখন সাজঘরে ফেরেন দলের রান তখন ৭৬। ওপেনিং জুটিই জয়ের ভিত গড়ে দেয় অগ্রণী ব্যাংককে। ৪৭.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ বের করে তারা।
সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে নাফীস থামেন ৮২ রানে। ১০৩ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চারের মার। ধিমান ঘোষ ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন। জয় থেকে যখন ২ রান দূরে, তখন ৪১ রানে সালমান হোসেন রান আউট হয়ে যান। রিশি ধাওয়ানের ছক্কায় ১৭ বল হাতে রেখে ম্যাচ জেতে অগ্রণী ব্যাংক।
আসিফ হোসেন দুটি ও মোহাম্মদ শহীদ নিয়েছেন একটি উইকেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তুষার ইমরানের ৯৮ রানের ইনিংসে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান তোলে রূপগঞ্জ। মোশাররফ হোসেন রুবেল ২৭ ও মুশফিকুর রহিম করেন ২১ রান।
পেসার আল-আমিন হোসেন নিয়েছেন চার উইকেট। শফিউল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক নেন দুটি করে উইকেট। রিশি ধাওয়ান নিয়েছেন একটি উইকেট।