পৃথিবীর শেষ পুরুষ সাদা গন্ডারটি কেনিয়ায় মারা গেছে। সুদান নামের সাদা গন্ডারটি বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিল জানিয়ে মঙ্গলবার গবেষকরা বলেছেন, ‘আত্মমর্যাদা বোধ আর শক্তির কারনে সে সবার মন করেছিল।’
কেনিয়ার ওল পেজেটা কনজারভেটরি জানিয়েছে, ৪৫ বছর বয়সী সুদানের শারীরিক অবস্থার বিশেষ অবনতি হলে তার যন্ত্রণার অবসানের জন্য ডাক্তাররাই তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।
পোচার বা যারা অবৈধভাবে পশু শিকার করে তাদের কারণে এই প্রজাতিটি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সুদানকে দিয়ে সাদা গন্ডারদের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছিল।
কনজারভেটরির প্রধান রিচার্ড ভাইন বলেন, ‘সুদান শুধু তার নিজের প্রজাতি নয়, মানুষের অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডে বিলুপ্তপ্রায় হাজার হাজার প্রজাতি সম্পর্কে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করেছে।’
সুদান পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে দারুণ জনপ্রিয় ছিল। গত বছর ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারে তার নামে অ্যাকাউন্ট খুলে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়।
পৃথিবীর শেষ পুরুষ সাদা গন্ডারটি সুদানে জন্ম নিয়েছিল। বনে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো এই প্রজাতির শেষ সদস্য ছিল সুদান।
সুদানকে ইউরোপের একটি চিড়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ২০০৯ সালে কেনিয়ায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আরও তিনটি সাদা গন্ডারের সাথে তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছিল।
নর্দার্ন হোয়াইট রাইনো বা সাদা গন্ডার এক সময় আফ্রিকার দেশ শাদ, সুদান, উগান্ডা, কঙ্গো, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে বিচরণ করতো। দশকের পর দশক ধরে ওই অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘাতের কারনে সাদা গন্ডারের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে।
সুদান মারা যাওয়ায় এখন কৃত্রিম উপায়ে সাদা গন্ডার প্রজাতিটিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করা হবে।