চীন বাংলাদেশে একটি অবাধ নির্বাচন দেখতে চায় এবং এদেশের জনগণের রায়ের প্রতি তারা সবসময় শ্রদ্ধাশীল। আজ বুধবার দূতাবাসে চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং ঝু এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
ঝ্যাং ঝু জানান, রোহিঙ্গা সংকটের একটি সত্যিকার সমাধানে চীন নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক ভূমিকা রাখছে। এক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়কেই সহায়তা করছে বলে জানান তিনি।
গত ৭ মার্চ রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র দেন চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং ঝু। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং ২০১৬ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং-এর সফরের পর বানিজ্য-বিনিয়োগ, অবকাঠামোসহ অর্থনৈতিক সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে চীন কী ধরনের ভূমিকা রাখছে জানতে চাওয়া হলে ঝাং বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত আলোচনায় আরো অগ্রগতি হবে বলে চীন আশাবাদী।’ এক্ষেত্রে চীনের কোন পক্ষপাত নেই জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘গঠনমূলক ভূমিকা পালন করাই চীনের লক্ষ্য।’
ঝ্যাং ঝু বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে আপনাদের উদ্বেগ আমরা বুঝি। এ ব্যাপারে চীনের কোনো স্বার্থ নেই। তাই বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই দেশকেই আমরা সহায়তা দিচ্ছি।’
বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের মানুষের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশের রাজনীতির প্রতিও চীনের রয়েছে গভীর মনোযোগ। চীন আশা করে আগামী দিনেও দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে।’
সংবাদ সম্মলনে প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং এর নেতৃত্বে চীনের আরো উন্নত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্বপ্ন এবং ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রকল্পে বাংলাদেশের অংশগ্রহনসহ সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের দারিদ্র দূরীকরনের চীনের ভাবনা তুলে ধরেন এই নতুন রাষ্ট্রদূত।