চকোলেট বয় ইমেজ নিয়ে বলিউডে নিজের যাত্রা শুরু করলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে পাল্টে ফেলতে কখনোই দ্বিধা করেননি শহিদ কাপুর। সে কারণেই হয়তো ‘যব উই মেট’, ‘হায়দার’, ‘উড়তা পাঞ্জাব’ ও ‘পদ্মাবত’-এর মতো ছবিগুলোতে তার অভিনীত ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র দর্শকদের মনে দাঁগ কেটেছে।
বলিউডের প্রথমসারির সব তারকাদের মতো বিভিন্ন সময়ে শহিদ কাপুরেরও নাম জড়িয়েছে তার সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে। যার মধ্যে বহুল চর্চিত সম্পর্ক ছিল নবাব পরিবারের পুত্রবধূ কারিনা কাপুরের সসঙ্গে। এ জুটির ব্রেক-আপের পর কারিনাই আগে সংসার পাতেন সাইফ আলীর সঙ্গে।
এরপর ২০১৫ সালে শহিদ কাপুরের বিয়ে হয় মীরা রাজপুতের সঙ্গে। শোনা যায়, বাবা পঙ্কজ কাপুরেরই পছন্দ করা পাত্রী ছিলেন দিল্লিবাসিনী মীরা। বলিউডের সঙ্গে কোনো যোগসূত্রই ছিল না শহিদের স্ত্রী মীরার।
বিয়ের পরে অনেক অনুষ্ঠানেই স্বামী শহিদ কাপুরের সঙ্গে দেখা গেছে স্ত্রী মীরাকে। টেলিভিশনের জনপ্রিয় টক-শো ‘কফি উইথ করণ’-এও মীরাকে বেশ খোলামেলা কথা বলতে দেখা গেছে। যেমন, শহিদের প্রাক্তন প্রেমিকাদের ব্যাপারে তার মতামত, তাদের ঝগড়া হলে কীভাবে মিটমাট হয় ইত্যাদি।
নিজেদের বেশ কিছু ব্যক্তিগত কথাও অনেক সময়েই অকপটে বলেন মীরা। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি এমনই এক চ্যাট-শোয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের ‘সাহসী’ জবাব দিতে শোনা গেছে মীরাকে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ওই চ্যাট শো-য়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ঘনিষ্ট মুহূর্তে তাদের ‘ফেবারিট পজিশন’ কী? সাহসী মীরার চটজলদি জবাব ছিল, বিছানায় শহিদ ‘কন্ট্রোল ফ্রিক’। সোজা বাংলায় যার মানে, প্রেমিকই নিয়ন্ত্রণ করেন সবকিছু। মীরার এমন উত্তরে প্রশ্নকারীর অবস্থা যেমনই হোক না কেন, লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গিয়েছিল পাশে বসে থাকা শহিদের।