নাটকীয়তা আর উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচটা হাত থেকে ফসকে যাচ্ছিল পর্তুগালের কিন্তু যে দলে একজন রোনালদো আছেন, সে কথা ভুলে গেলে চলবে না। ডুবতে বসা দলকে টেনে তুলছেন এ রিয়াল তারকা।
যোগ হওয়া সময়ে (৯২, ৯৪ মিনিট) গোল করে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে রোনালদোর পর্তুগাল। তার জোড়া গোলে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে শুক্রবার রাতের প্রীতি ম্যাচে মিসরকে ২-১ গোলে হারায় পর্তুগাল।
ফুটবল মানে ৯০ মিনিটের খেলা। কিন্তু যে দলে রোনালদো আছেন সে দলের জন্য ৯০ মিনিটের নয় ফুটবল শেষ সেকেন্ডের খেলা। মিসরকে সেই শেষ মিনিট দেখিয়ে দিল রোনালদো। ফুটবলে যেকোন সময় যা কিছু হতে পারে রোনালদো তার প্রমাণ দিল। মিসর এবং পর্তুগালের মধ্যকার খেলাটা মোহাম্মাদ সালাহ এবং রোনালদোর প্রতিযোগিতা শিরোনাম পেয়েছিল। সেই শিরোনামেই শেষ হলো ম্যাচ। প্রথমে গোল করে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়েয়েই ফেলেছিল লিভারপুলের স্টাইকার সালাহ। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে দুই গোল করে মিশরীয়দের জয়ের উল্লাস থেকে বঞ্চিত করেছেন রোনালদো।
সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি-রোনালদো আর নেইমার। কিন্তু ব্রাজিল এবং আর্জেন্টাইন তারকা দলের হয়ে খেলতে পারেননি। সব আলো ছিল তাই রোনালদোর উপরে। তার সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল চলতি মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে দারুণ খেলা সালাহ। সেই আলো সালাহই কেড়েছিল প্রথম। ৫৬ মিনিটে দলকে এনে দিয়েছিল কাঙ্খিত গোল। সেই গোলে ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত সালাহর লিড ধরে রেখেছিল মিশর। কিন্তু যোগ করা সময়ে জয় ছিনিয়ে নিল রোনালদো।
বলতে গেলে রোনালদো মাথায় করে দলকে এনে দিল মনে রাখার মতো এক জয়। কারণ শেষ দিকে করা দুটো গোলই যে এসেছে সিআরসেভেনের হেড থেকে। ম্যাচ তখন অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গড়িয়েছে। বাঁ দিক থেকে রিকার্দো কারেসমা দারুণ ক্রস দিলেন। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে হেডে দলকে সমতায় ফেরালেন রোনালদো। শেষ বাঁশি বাজার আগ মূহূর্তে ডান দিক থেকে কারেসমার ফ্রি-কিকে আবার হেডে রোনালদোর। গোল এবং পর্তুগালের জয়। শেষ হাঁসি হেসে মাঠ ছাড়লেন রোনালদো এবং তার দল।