নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে আজ সোমবার সকাল থেকে ভোট দিতে শুরু করেছেন মিসরের জনগণ। তিনদিন ধরে অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে বেশিরভাগ বিরোধী প্রার্থী আগেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনর্নির্বাচিত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানায়, প্রাথমিকভাবে সাতজন প্রার্থী এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেওয়ার পর মিসরের সাবেক জেনারেল ও চিফ অব স্টাফ সামি আননকে সেনা কর্তৃপক্ষ আটক করে। সামি আনন ছিলেন সিসির শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘উত্তেজনাকর’ বক্তব্য প্রচারের এবং সরকারি নথি জালিয়াতির অভিযোগ এনে তাকে আটক করা আনা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলীয় অনেক প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। যদিও সিসির নির্বাচনি মুখপাত্র দাবি করেছেন, কোনও প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়নি।
sisiবিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে সিসির বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি হলেন, স্বল্প পরিচিত মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ মুসা মোস্তফা মুসা। তবে তিনিও বতমান প্রেসিডেন্টেরই সমর্থক। এরই মধ্যে মুসা ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি সিসির পুনর্নির্বাচিত হওয়াকে সমর্থন করেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শক্ত কোনও প্রার্থী না থাকায় বেশ স্বস্তিতেই যে সিসি তার জয় নিশ্চিত করতে যাচ্ছেন সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই বললেই চলে।
বৃহত্তম আরব দেশ মিসরে জনসংখ্যা ৮ কোটি ৪০ লাখ। আধুনিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে দেশটি। মিসরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিসি ২০১৩ সালে এক সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার বছরখানেক পর ২০১৪ সালে নির্বাচনের ডাক দেন এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
মর্থকদের দাবি, ২০১১ সাল থেকে মিসরে যে অস্থিরতা চলছিলো তা থামিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা এনেছেন সিসি। তবে সমালোচকদের দাবি, সিসি নিজেকে বিজয়ী করার মতো করে নির্বাচনি পরিস্থিতি তৈরি করেছেন এবং বিরোধীদের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করেছেন।