চোটের কারণে আর্জেন্টিনার প্রধান খেলোয়াড় লিওলেন মেসি ছিলেন না ইতালির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে। তবে মেসি না থাকলেও ইতালির বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছিল আর্জেন্টিনা। তবে এবার আর মেসিবিহীন দলের জয় পাওয়া হলো না। ২০১০ সালের বিশ্বকাপজয়ী শক্তিশালী স্পেনের বিপক্ষে ৬-১ গোলের লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করতে হলো সাম্পাওলির দলের।
গতকাল ম্যাচে মেসি, ডি মারিয়া, আগুয়েরো কেউই ছিলেন না আর্জেন্টিনা দলে। এমনকি ইতালির বিপক্ষে ম্যাচে গোল স্কোরার লানজিনিও ছিলেন মাঠের বাহিরে। ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে নিয়ে খেলতে থাকে স্পেন। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় অবশ্য প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনাই। কিন্তু গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হিগুয়েইন।
এর ঠিক ৪ মিনিট পরেই গোলের দেখা পায় স্পেন। এসেনসিওর বুদ্ধিদীপ্ত ক্রসে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ডিয়েগো কস্তা। ম্যাচের ২৭ মিনিটে আবারও স্পেনের গোল। এবার এসেনসিও গোল করান ইসকোকে দিয়ে। ২ গোল খেয়ে যেন হুঁশ ফেরে আর্জেন্টিনার। ৩৯ মিনিটে এভার বানেগার কর্নার থেকে হেডে গোল করে এক গোল পরিশোধ করেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার ওটামেন্ডি। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও বেশিরভাগ সময় ম্যাচে চলে স্পেনের আধিপত্য। ৪৭ মিনিটে কস্তার বদলি হিসেবে ইয়াগো আসপাস মাঠে নামার পর যেন আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে স্প্যানিশরা। ৫২ মিনিটে সেই আসপাসের ক্রস থেকেই আর্জেন্টিনার দুর্বল ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ইসকো। এই গোলের উদযাপন শেষ না হতেই আবারও গোল করে বসে স্পেন। এবার গোলের খাতায় নাম লেখান বায়ার্ন মিউনিখের তারকা থিয়াগো। ৪ গোলে খেয়ে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে সাম্পাওলির দল।
৬৬ মিনিটে লো সেলসোর ফ্রি কিক গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৭৩ মিনিটে ডি গিয়ার শট রুখে দিতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডাররা। সেই সুযোগে দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন আসপাস। এক মিনিট পরেই নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ইসকো। এবারও তার গোলে সহায়তা করেন আসপাস। ম্যাচের বাকিটা সময় আর কোন গোল না হলে ৬-১ গোলে বিশাল হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।