টেলিভিশন চ্যানেলটির মালিক জুনায়েদ আনসারী জানান, মারভিয়াকে মেধাগত যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে লৈঙ্গিক পরিচয় বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
সংবাদমাধ্যমে মারভিয়া জানান, চাকরি পাওয়ার খবরে তিনি আনন্দে চিৎকার করতে চেয়েছিলেন। বলেন, আমি নিজের জন্য এই স্বপ্ন দেখেছিলাম। তা অর্জনের জন্য প্রথম সিঁড়ি পার হলাম আমি। আমার চাকরি পাওয়া দেশের হাজারো তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের কর্মসংস্থানে সহযোগিতা করবে।
পাকিস্তানে ২০১৬ সালের জুন মাসে তৃতীয় লিঙ্গের এক আন্দোলনকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল দেরিতে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কারণে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না আলিশা নামের ২৩ বছরের ওই রোগীকে নারী না পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হবে।
এরকম নানা ধরনের বৈষম্যমূলক ঘটনার প্রেক্ষিতে মার্চ মাসের শুরুতে তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার রক্ষায় প্রস্তাবিত একটি বিলে সম্মতি দেয় পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। এতে তাদের লিঙ্গ পরিচয় দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কহিনুর চ্যানেলকে অভিনন্দন জানিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলেছে, লৈঙ্গিক পরিচয় বিবেচনায় না এনে তারা সত্যিকার মানবতার পরিচয় দিয়েছে।