ভারতের উত্তর প্রদেশের মন্ত্রীর বোনকে নিয়ে উধাও হয়েছেন এক বাংলাদেশি যুবক। বাংলাদেশি ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশি যুবককে খুঁজছে পুলিশ।
ভারতের উত্তর প্রদেশের মন্ত্রীর বোনকে নিয়ে উধাও হয়েছেন এক বাংলাদেশি যুবক। বাংলাদেশি ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশি যুবককে খুঁজছে পুলিশ।
ভারতে বাংলা ভাষায় প্রচারিত কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্পদ অধিকারী নামের ওই যুবক উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী এস পি সিং বাঘেলের বোনকে নিয়ে পালিয়ে আসেন ভারতের উত্তর ২৪ পরগনায়। প্রথমে বারাসতে এলেও পরে আর তাঁদের সন্ধান মেলেনি। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে খুঁজছেন ওই মন্ত্রী ও তাঁর ভাইয়েরা। পুরো রাজ্যে দুজনের ছবি নিয়ে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তেও নজরদারি চালানো হয়েছে।
বাংলাদেশের নড়াইলে বাড়ি সম্পদ অধিকারীর। তাঁর আত্মীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান সম্পদ। বারাসতের কানাপুকুর এলাকায় জমি কিনে বাড়িও করেন। সেই বাড়ি ভাড়ায় দিয়ে উত্তর প্রদেশের ভগ্নিপতির কাছে যান। নিজেকে ‘চিকিৎসক’ পরিচয় দিয়ে ভগ্নিপতির ওষুধের দোকানে বসতে শুরু করেন। এলাকায় ‘হাতুড়ে ডাক্তার’ হিসেবে পরিচিত পান তিনি। সেখান থেকেই মন্ত্রীর বোনের সঙ্গে পরিচয়। অভিযোগ, ১৬ মার্চ মন্ত্রীর নাবালক বোনকে নিয়ে বিমানে করে কলকাতায় আসেন সম্পদ। খবর পেয়ে পরদিন কলকাতায় যান মন্ত্রী এস পি সিং বাঘেলের ভাই ও উত্তর প্রদেশের পুলিশ। তাঁরা বারাসতের কানাপুকুরে সম্পদের বাড়িতে অভিযান চালান। সেখান থেকে এলাকার কয়েকজন যুবক ও সম্পদের দুই আত্মীয়সহ মোট ছয়জনকে আটক করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, ১৭ মার্চ রাতে সশস্ত্র কয়েকজন সম্পদের খোঁজে এসে ওই এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছেন। খবরটি স্থানীয় কাউন্সিলর চম্পক দাসের কানে যায়। বিষয়টি জানার পর উত্তর প্রদেশের পুলিশ ও মন্ত্রীর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপরেই পুরো ঘটনা সামনে আসে।
মন্ত্রীর ভাই নীরজ সিং জানান, সম্পদ অধিকারীর সম্পর্কে সব তথ্য তাঁরা পেয়েছেন। তাঁর মা-বাবা বাংলাদেশে থাকেন। সেখানে ইতি অধিকারী নামে এক স্ত্রীও রয়েছে সম্পদের। তা সত্ত্বেও মন্ত্রীর ১৬ বছরের বোনকে নিয়ে পালিয়েছেন। নিজেকে খুব বড়লোক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন সম্পদ। বারাসত, সুভাষনগর, বনগাঁসহ সম্পদের সব আত্মীয়র বাড়িতে তাঁর খোঁজে গেছে পুলিশ।
বারাসতের কাউন্সিলর চম্পক দাস জানান, ‘মন্ত্রী এস পি সিং নিজে ফোন করেছিলেন। আমরা সব রকম সাহায্য করছি।’
জানা গেছে, উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে এক আত্মীয়ের আশ্রয়ে আছেন তাঁরা। সেখানেও খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।