যৌন হেনস্তা ঝড়ে রীতিমতো বিধ্বস্ত বলিউড। একের পর এক অভিনেতীর মুখ খুলছে এই ঝড়ের দাপটে। তবে বলিউডের এই নির্যাতিতদের সাহস জোগানোর পেছনে আসল মানুষটি হলেন তনুশ্রী দত্ত। ১০ বছর আগে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এক অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন তিনি। নানা পাটেকারের মতো বরেণ্য অভিনেতা এই বলিউড সুন্দরীকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন বলে অভিযোগ। গত মঙ্গলবার চিত্রনাট্যকার, পরিচালক তথা প্রযোজক বিনতা নন্দা বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা অলোক নাথের মুখোশ খুলে দেন। তাঁর অভিযোগ, অলোক নাথ তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। বিটাউনে অভিনেতা অলোক নাথকে সবাই নিপাট ভদ্রলোক বলেই জানতেন। বিনতার অভিযোগের পর থেকে অলোক নাথের বিরুদ্ধে অনেকেই আওয়াজ তুলেছেন।
বিনতা পর আজ বুধবার অভিনেত্রী সন্ধ্যা মৃদুল এবং ছবির কারিগরি দলের সদস্য অলোক নাথের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। বিনতার সমর্থন করে সন্ধ্যা নিজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। এই বলিউড অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অলোক নাথ তাঁর সঙ্গে অসভ্য আচরণ ও জবরদস্তি করার চেষ্টা করেছিলেন। সন্ধ্যা এই পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আমি অলোক নাথ ও রীমা লাগুর সঙ্গে একটা টেলিফিল্মের শুটিং করছিলাম। আমি অলোক নাথকে খুব সম্মান করতাম। অলোক নাথ আর রীমা লাগুর মতো বড় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুব খুশি হয়েছিলাম। তাড়াতাড়ি আমার ভুল ভাঙে। এক রাতে আমরা সব কাস্ট মিলে ডিনার করতে গিয়েছিলাম। ওখানে অলোক নাথ প্রচুর মদ পান করেন। আর আমাকে তাঁর পাশে এসে বসতে বলেন। এরপর আমাকে আপত্তিকর অনেক কথা বলেন। খুব অস্বস্তি হচ্ছিল। সঙ্গের শিল্পীরা তাঁর পাশ থেকে আমাকে সরিয়ে আনেন।’
এখানেই শেষ নয়। রাতে অলোক নাথ মদ্যপ অবস্থায় হোটেলে ফিরে সন্ধ্যার রুমের দরজায় জোরে জোরে আঘাত করেন। আর বলিউডের এই প্রবীণ অভিনেতা সন্ধ্যাকে চিৎকার করে বলেন, ‘আমি তোমাকে চাই। তুমি আমার।’
সন্ধ্যা দরজা খুলে কোনোক্রমে পালিয়ে যান। বলিউডের প্রয়াত অভিনেত্রী রীমা লাগু ওই সময় সন্ধ্যার পাশে ছিলেন। সন্ধ্যার পাশাপাশি ছবির কারিগরি দলের আরেক সদস্য অলোক নাথের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এই মেয়েটির বক্তব্য, সুরজ বরজাতিয়ার ছবির সেটে অলোক নাথ তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন। মেয়েটি অলোক নাথের রুমে গিয়েছিলেন তাঁকে পোশাক দিতে। অলোক নাথ মেয়েটির সামনে পোশাক বদল করতে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, মেয়েটি পালাতে গেলে অলোক নাথ তাঁর হাত টেনে ধরেন। তখন মেয়েটি কোনোক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন। মেয়েটি সুরজ বরজাতিয়াকে বিষয়টি জানান। সুরজ বরজাতিয়া আর অলোক নাথ ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
এখন মেয়েটি বলেছেন, তিনি তখন এ ব্যাপারে সরব হননি কারণ ওই সময় তাঁর কথা কেউ বিশ্বাস করত না।