প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্যের পিছু ছুটছে অস্ট্রেলিয়া। দুবাই টেস্ট জিততে পেরোতে হবে ৪৬২ রানের পাহাড়। কাল এ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ১৩৬ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ টেস্টের শেষ দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৩ উইকেটে ১৮৬। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে বেশ ভালো জুটি (১০০*) গড়েছেন উসমান খাজা ও ট্রাভিস হেড। এই টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে টিম পেইনের দলের শুরুটাও ছিল চমৎকার। ৮৭ রানে ওপেনিং জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর মাঝে ‘ডাক’ মেরেছেন মার্শ ভাইয়েরা। তাঁদের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়া রান না পেলেও ইতিহাসে নাম লেখানোর সুযোগটা ঠিকই পেয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে তিনে নেমে ‘ডাক’ মারেন শন মার্শ। চারে নেমে শনের পথেই হেঁটেছেন তাঁরই ছোট ভাই মিচেল মার্শ। এবার আসা যাক অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস প্রসঙ্গে—যেখানে পাঁচে ও ছয়ে নেমে ‘ডাক’ মেরেছেন ট্রাভিস হেড ও মারনাস লাবুশেন। ব্যাপারটা বেশ চমকপ্রদ না? এক টেস্টে কোনো দলের দুই ইনিংস মিলিয়ে ব্যাটিং অর্ডারে তিন থেকে ছয় পর্যন্ত অন্তত একটি ‘ডাক’! টেস্ট ইতিহাসে এমন ঘটনা রয়েছে সর্বসাকল্যে আটটি—যেখানে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নামও।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছিল দলের ব্যাটিং অর্ডার। মাত্র ৪৩ রানেই অলআউট! সেই ইনিংসে চারে নেমে ‘ডাক’ মেরেছিলেন মুশফিকুর রহিম। পাঁচ ও ছয়ে নেমে মুশফিকের পথই অনুসরণ করেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনে নেমে ‘ডাক’ মেরেছিলেন মুমিনুল। অর্থাৎ এক টেস্টের কোনো দলের দুই ইনিংস মিলিয়ে ব্যাটিং অর্ডারের তিন থেকে ছয় পর্যন্ত অন্তত একটি ‘ডাক’ মারার অনাকাঙ্ক্ষিত নজির—যা বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসেও প্রথম।
দুবাইয়ে একই নজির অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয়। তাদের মিডল অর্ডারে এই ‘ডাক’প্রীতি সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ১৩০ বছর আগে। ১৮৮৮ সালে ম্যানচেস্টার টেস্টে ঠিক একই রকম ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। টেস্টে এমন ঘটনার সেটিই প্রথম