রোগটা দীর্ঘদিনের। ২০০৪ সাল থেকেই পায়ে ব্যথা দিয়েগো ম্যারাডোনার। এতোদিন গুরুত্ব দেননি। তবে যখন গুরুত্ব দিতে হলো তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এতোদিনে দুই হাঁটুর তরুণাস্থি আর অবশিষ্ট নেই। যে কারণে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে দ্রুত অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কোনও অস্থি অবশিষ্ট না থাকায় নকল পা লাগাতে হবে তাঁকে।
মেক্সিকান ক্লাব দোরাদোস দে সিনালার কোচের দায়িত্বে আছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। সেখানে এক অনুশীলন সেশনের ভিডিও দেখে ম্যারাডোনাভক্তদের চক্ষু চড়কগাছ। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি তো হাঁটতেই পারছেন না! খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ধীরে ধীরে হাঁটছেন
সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ম্যারাডোনার জার্মান চিকিৎসক ওচোয়া বলেন, ‘তাকে দুই হাঁটুতেই তীব্র গেঁটে বাতে ভুগছেন। দুই হাঁটুরই তরুণাস্থি ক্ষয়ে গেছে। হাঁটুর দুটি হাড়ে ঘষা লাগছে—ফেমারের সঙ্গে টিবিয়া ও ফেবুলা। এটা গুরুতর সমস্যা। এর সমাধান হলো অস্ত্রোপচার। হাঁটুতে কৃত্রিম তরুণাস্থি বসাতে হবে। তা না হলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে। এটি থামানো সম্ভব না। এ কারণে তাঁর নকল পা প্রয়োজন।
তবে সাময়িকভাবে নকল পা না বসিয়ে ব্যথা প্রশন করা যাবে সেটিও বলেছেন চিকিসক ওচোয়া। তিনি বলেন, এটার একটা বিকল্প আছে। সেক্ষেত্রে হাঁটুর কিছু অস্থি ব্লক করে দিতে হবে, যা মস্তিস্কের সঙ্গে সংযুক্ত। তবে এগুলোও স্থায়ী সমাধান নয়। এটা শুধু সাময়িকভাবে ব্যথাকে কিছুটা প্রশমন করবে।