বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে তার ছেলে আহনাফ তাজোয়ার আইয়ুব বাবাকে নিয়ে নিজের ফেসবুকে এমনটিই লিখেছেন।
‘আমি আশা করি আপনি যেখানেই থাকুন এখনো আগের মতোই এইরকম হাসছেন। আমি আপনাকে ভালোবাসি। আপনাকে ছাড়া পৃথিবীটা শূন্য মনে হচ্ছে।’
তিনি লিখেন, ‘যারা এই লেখা পড়ছেন তারা আমার বাবার বিদেহী আত্মার জন্য প্রার্থনা করবেন। বাবাকে ভালোবাসা এবং দুয়া করার জন্য আপনাদেরকে যথেষ্ট ধন্যবাদ দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।’
বাবার মৃত্যুর সময় পাশে থাকতে পারেননি আহনাফ। তবে বাবাহীন পৃথিবীর শূন্যতা ছুঁয়ে গেছে তাকে। সে শূন্যতা থেকেই বাবাকে নিয়ে নিজের আবেগ ব্যক্ত করলেন।
আহনাফ পরিসংখ্যান নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে পড়াশুনা করছেন। তাই তাকে কানাডাতে থাকতে হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে কানাডা থেকে দেশে ফিরেন তিনি। এরপর বিমানবন্দর থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। বাবার মরদেহ দেখার জন্য।
বাবার পথ ধরেই শৈশব থেকে গিটার চর্চা করে আসছেন আহনাফ। ছেলেকে নিয়ে এক সঙ্গে কনসার্টে পারফর্মও করেছেন আইয়ুব বাচ্চু। এক সাক্ষাৎকারে এই কিংবদন্তি বলেছিলেন, আমি চেয়েছি আহনাফের জীবনের শুরুটা হোক একটা ভালো জায়গায়। সবার কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা আমাকে আর এলআরবিকে যেভাবে ভালোবেসেছেন, আমার ছেলেকেও একইভাবে ভালোবাসবেন।
১৮ অক্টোবর ৫৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতকে মাতিয়ে রেখেছিলেন এলআরবির এই কাণ্ডারি। সঙ্গীতকে আরো উচ্চ আসনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই চলে যান।
১৯৬২ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। গানের জগতে আসেন ব্যান্ড ফিলিংসের মাধ্যমে। এর আগে বন্ধুদের সঙ্গে ছোটখাটো অনুষ্ঠান করতেন। এরপর ১৯৯১ সালে গঠন করেন এলআরবি। আইয়ুব বাচ্চুর একক অ্যালবাম রয়েছে ১৬টি। আর ব্যান্ড অ্যালবাম করছেন ১২টি।