সৌম্য সরকার ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ ভাল খেলছিল। জাতীয় লিগে দুটি সেঞ্চুরির পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও সেঞ্চুরি। এতটা ধারাবাহিক সৌম্যকে উপেক্ষা করতে পারেননি নির্বাচকেরাও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে একপ্রকার ‘জরুরি তলব’ করেই চট্টগ্রামে উড়িয়ে এনে মাঠে নামানো হয় তাঁকে। আর সৌম্যও যেন মাঠে নামলেন, দেখলেন, খেললেন আর জয় করলেন! ৯২ বলে ১১৭ রানের রাজকীয় এক ইনিংসে নিজের ফেরাটা উদ্যাপন করলেন দারুণভাবেই। বাংলাদেশও পেল ৭ উইকেটের দাপুটে এক জয়।
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট চলছে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেল। দারুণ ফর্মে থাকায় ড্রাফটে সৌম্য যে আগ্রহের কেন্দ্রে থাকবেন, সেটা জানাগিয়েছিলই। গত আসরে যদিও ‘আইকন’ ছিলেন কিন্তু পারফরম্যান্সটা ‘আইকনে’র মতো একেবারেই ছিল না। তবে এবার আইকন না হলেও রাজশাহী কিংস প্রথম সুযোগেই দলে নিয়ে নেয় তাঁকে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সৌম্যর সতীর্থ হিসেবে দেশি তারকাদের মধ্যে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান, মুমিনুল হক ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
২০১২ সালের প্রথম বিপিএলেও সৌম্য রাজশাহীর হয়ে খেলেছিলেন। তারকা খ্যাতি না থাকায় সে সময় অনেকেরই চোখে পড়েননি তিনি। বিপিএল থেকে বিলুপ্ত দুরন্ত রাজশাহী নামের সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে খেলার পর বিপিএলে সৌম্য খেলেছেন আরেক বিলুপ্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা গ্লাডিয়েটরসের হয়ে। এরপর তিনি খেলেন রংপুর রাইডার্স ও চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে।