অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে ঢাকাই চলচ্চিত্রে খানিকটা সুবাতাস লেগেছে। ১৯ অক্টোবর অনম বিশ্বাসের ‘দেবী’ মুক্তির পর থেকেই জয়জয়কার চলছে ছবিটির। একই দিন মুক্তি পাওয়া বাপ্পী চৌধুরী অভিনীত ‘নায়ক’ ছবিটিও খানিকটা আলোচনায় আছে।
প্রযোজক সমিতির মুক্তি নিবন্ধন খাতা থেকে জানা গেছে, বছরের শেষ দুই মাস—নভেম্বর ও ডিসেম্বরজুড়ে মুক্তির তালিকায় আছে এক ডজন ছবি। আগামী ২ নভেম্বর ‘আসমানী’ ও ‘লিডার’ নামের দুটি ছবি মুক্তি পাবে। ‘স্বপ্নের ঘর’ এবং আমদানি করা ছবি ‘বিসর্জন’ মুক্তি পাবে ৯ নভেম্বর। ১৬ নভেম্বর মুক্তি পাবে ‘মুখ ও মুখোশ’ (রূপ ও রূপক) এবং ‘ধ্বংস মানব’। ‘পাঠশালা’ ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে উঠবে ২৩ নভেম্বর। ৩০ নভেম্বর ‘অনুপ্রবেশ’ এবং ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ ছবি দুটি মুক্তি পাওয়ার কথা। ‘ডনগিরি’, ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’—এই দুটি ছবি মুক্তি পাবে ৭ ডিসেম্বর। ১৪ ডিসেম্বর থেকে দেখা যাবে ‘রাত্রির যাত্রী’ এবং ‘হৃদয়ছোঁয়া কথা’।
এর মধ্যে অর্ধেক ছবিই মুক্তির পর দর্শক আলোচনায় উঠে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন চলচ্চিত্র পাড়ার কেউ কেউ। প্রযোজক সমিতিতে মুক্তির জন্য নিবন্ধিত থাকলেও এর মধ্যে দু–একটি ছাড়া ছবিগুলোর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও পরিচালক থেকে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, ২ নভেম্বর ‘আসমানী’ মুক্তি পাবে। আনিসুর রহমান মিলন ও মম অভিনীত ‘স্বপ্নের ঘর’ ছবিটি মুক্তি পাবে ৯ নভেম্বর। ২৬ অক্টোবর বিএফডিসিতে সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব তাঁর ‘রাত্রির যাত্রী’ ছবিটির মুক্তির তারিখ ঘোষণা করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ১৪ ডিসেম্বর ছবিটি মুক্তি দেবেন। একই সঙ্গে মুক্তির দিন নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘শুনছি, আমার ছবির মুক্তির দিনটি নিয়েও জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে। একটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেখিয়ে একাধিক নতুন ছবি ওই তারিখে ঢুকে যেতে পারে। সিনেমা নিয়ে এ কোন ধরনের নোংরা রাজনীতি?’ উপস্থিত সবার কাছে এমন প্রশ্ন রেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এই পরিচালক।