অনেক দিন পর জমে উঠেছে লা লিগা । সপ্তাহ শুরু হচ্ছে কোনো এক দলের শীর্ষস্থান দেখে, শেষ হচ্ছে সে দলকে চারের বাইরে ছিটকে যেতে দেখে। লিগ জয়ের দৌড়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ ইতিহাসের সবচে বাজে খেলে। আবার দুর্দান্ত শুরুর পরও রিয়ালের চেয়ে মাত্র ৪ পয়েন্ট এগিয়ে সেভিয়া। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও এক ম্যাচে উড়ছে তো অন্য ম্যাচে ডুবছে। এরই ফাঁকতালে লা লিগার শীর্ষস্থান বুঝে নিয়েছে বার্সেলোনা। ভিয়ারিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেভিয়াকে টপকে গেছে বার্সেলোনা।
রেকর্ড গড়ে বার্সেলোনায় এসেও ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন ওউসমান ডেমবেলে। একের পর এক ম্যাচে সাইডবেঞ্চ গরম করেই সময় কাটছিল তাঁর। অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে বদলি নেমে দলকে হার থেকে বাঁচানোর পর পরিস্থিতি পাল্টেছে। চ্যাম্পিয়নস লিগেই একাদশে জায়গা মিলেছে। গতকাল তো দলের প্রাণভোমরা হয়েই ছড়ি ঘুরিয়েছেন। ন্যু ক্যাম্পে অতি রক্ষণাত্মক ভিয়ারিয়ালের রক্ষণের সামনে অনুজ্জ্বল সময় কাটাচ্ছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু বার্সেলোনাকে সেটি টের পেতে দেননি ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড। গোল পাননি, কিন্তু প্রথমার্ধে জেরার্ড পিকেকে দিয়ে গোল করিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন। মেসি অবশ্য শেষ মুহূর্তে এসে দলের জয় সুনিশ্চিত করেছেন । পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ মেসির দারুণ এক পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন কার্লেস এলেনা।
কিন্তু দিনটা ছিল ডেমবেলের। তাঁকে টপকে বার্সেলোনার ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়েছেন ফিলিপে কুতিনহো। কিন্তু লুইস সুয়ারেজের অনুপস্থিতিতে কুতিনহো নন, দায়িত্ব বুঝে নিলেন ডেমবেলে। মাঠের ডান প্রান্ত দিয়ে বারবার আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। ৩৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে উড়ে আসা এমনই এক ক্রস থেকে হেড করে বার্সেলোনাকে লিড এনে দিয়েছেন পিকে। এরপর ভিয়ারিয়াল বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ৮৭ মিনিটে মেসির বুদ্ধিদীপ্ত পাস থেকে গোল করেছেন একাডেমি থেকে উঠে আসা এলেনা।
এ জয়ে ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগে শীর্ষ স্থান ফিরে পেয়েছে বার্সেলোনা। গত সপ্তাহে শীর্ষে থাকা সেভিয়া ১-১ গোলে ড্র করেছে আলাভেসের সঙ্গে। ২৭ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত দুইয়ে আছে তারা। জিরোনার সঙ্গে ভাগ্যগুণে ড্র করে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে অ্যাটলেটিকো। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল আছে পাঁচে। দুই মাদ্রিদের মাঝে অবস্থান করছে ২৪ পয়েন্ট পাওয়া আলাভেস।