মিরাজ এগিয়ে রাখছেন ইংল্যান্ড ম্যাচকেই

মিরাজ এগিয়ে রাখছেন ইংল্যান্ড ম্যাচকেই

মেহেদী হাসান মিরাজ পুরো সিরিজে ১৯ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ঢাকাতেই ইংল্যান্ডকে হারানোর ম্যাচে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট। দুই বছর পর আবারও ম্যাচে ১২ উইকেট নিলেন। ফলে তুলনাটা চলেই এলো। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুই ইনিংসে ধসিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ তার ইতিহাসের প্রথম ইনিংস ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে। আর এই জয়ের কারিগর মিরাজ বলছিলেন, ইংল্যান্ডের ওই ম্যাচকে কেনো তিনি এগিয়ে রাখবেন, ‘দুইটা কিন্তু ভাল হয়েছে। কিন্তু প্রথমটা আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল; ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। অবশ্যই ওইটা এগিয়ে থাকবে। কারণ এক্সপেরিয়েন্সের দিক থেকে এখন অনেক পরিপক্ক হয়েছি। ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলে এই দুই বছরে অনেক এগিয়েছি—কোন উইকেটে বা কীভাবে কি করতে হবে। কাজেই ওইটাকে এগিয়ে রাখব যদিও এইটাও কম না।’

ঢাকার এই উইকেটে স্পিনারদের জন্য সহায়তা ছিলো। কিন্তু সেটা ত্রাস ধরনের কিছু না। এই ধরনের উইকেটে এতো ভালো করার রহস্যটাও মিরাজ জানালেন, ‘ভালো জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বল করেছি। এইজন্য উইকেট পেয়েছি। যদি ভাল জায়গায় বল না করতাম তাহলে উইকেট পেতাম না, রানও হয়ে যেত।’

এই ম্যাচে মিরাজ এক শিমরন হেটমেয়ারকেই চার বার আউট করেছেন। মিরাজ বলছেন, যুব দল থেকে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানকে চেনার ফলে তার পরিকল্পনা করতে সুবিধা হয়েছে, ‘ওর সঙ্গে (বিপক্ষে) আমি অনেক দিন খেলেছি। দুইটা যুব বিশ্বকাপ খেলেছি, তারপর জাতীয় দলে ঢুকেও খেললাম। ওর সম্পর্কে অনেক কিছুই আমি জানি। কাজেই ওর সময় পরিকল্পনা করা সহজ হয়েছে। এজন্য সাফল্যও এসেছে।’মিরাজ আনন্দিত ভুরি ভুরি উইকেট পেয়ে । তবে সেটা দলের সাফল্য এসেছে বলে। দেশের হয়ে ম্যাচ জিতেছি এটাই অনেক ভালো লাগার।’

এই টেস্টে বাংলাদেশ গত টেস্টের মতোই চার স্পিনার নিয়ে খেলেছে। কিন্তু মিরাজ ও আর সাকিবই কাজটা সেরে দিয়েছেন প্রায়। তারপরও মিরাজ মনে করেন, চার স্পিনার জরুরি ছিলো এই টেস্টেও, ‘একটা জিনিস দেখেন যে দুই দিক থেকেই কিন্তু বোলিং করতে হয়। দুইজন বল করতে থাকলে একটা সময় কিন্তু একজন টায়ার্ড হয়ে যায়। কাজেই চারটা স্পিনার নেওয়ার কারণ হলো ঘুরেফিরে একজন বিশ্রাম দিয়ে