চার বছর আগে ছেলেদের পাশাপাশি নারীদের ফুটবল লিগ চালু করে সবাইকে চমকে দিয়েছিল আফগানিস্তান। নারী ফুটবলে উন্নতির জন্য বড় এক পদক্ষেপ নিয়েছিল তারা। কিন্তু এ পদযাত্রা হুমকির মুখে পড়ে গেছে। দেশটির ফুটবল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নারী ফুটবলারদের ওপর যৌন হয়রানির। গত শনিবার এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, তারা গুরুত্ব দিয়ে এ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।
আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা, এমনকি ফেডারেশন সভাপতি কেরামউদ্দিন করিমের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বেশ কয়েকজন সাবেক খেলোয়াড়। শুধু খেলোয়াড় নন, দলের সাবেক কোচ যুক্তরাষ্ট্রের কেলি লিন্ডসেও এএফএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
শনিবার এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয় পর্যবেক্ষণ করছে ফিফা। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, এসব ব্যাপারে ফিফা কোনোভাবেই ছাড় দেয় না। এদিকে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যৌন ও শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ ওঠায় দলের মূল স্পনসর ‘হামেল’ আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে করা চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। ড্যানিশ এই ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তাদের কাছে প্রমাণ আছে নারী খেলোয়াড়দের ‘মানসিক, শারীরিক, যৌন হয়রানি’ করেছে পুরুষ এএফএফ কর্মকর্তা। সম–অধিকারের মতো মৌলিক দিকগুলোরও অপব্যবহার করেছে এএফএফ।
নিজস্ব ফেসবুক পেজে এএফএফ অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জোরালো কণ্ঠে তারা জানিয়েছে, এএফএফ অনেক তরুণ ও প্রতিভাবান নারীকে দলে পেয়ে গর্বিত এবং এদের সব ধরনের হয়রানি থেকে বাঁচানোর জন্য এবং এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। এএফএফ এসব ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেয় না।’ এএফএফের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলিরেজা আকাজাদা বলেছেন, ‘এ গল্পগুলো সত্য নয়। কোনো নারী ফুটবলারের সঙ্গেই যৌন হয়রানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাদের জন্য মেয়েদের ফুটবল থামিয়ে দেওয়া খুবই সোজা, তালেবান ও মোল্লাদের হুমকির ভয়েই এটা করা যায়। কিন্তু আমরা পেছাতে চাই না। আমরা আমাদের নারী ফুটবলকে সমর্থন করি।’ স্পনসর হামেলের চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর খবরকেও উড়িয়ে দিয়েছেন আকাজাদা।