আফ্রিকার সেরা সালাহ

আফ্রিকার সেরা সালাহ

মিসরীয় উইঙ্গার মোহাম্মদ সালাহ ২০১৬ সালে এএস রোমা থেকে লিভারপুলে এসেই নিজের প্রতিভার সর্বোচ্চ প্রকাশ করতে পেরেছেন । লিভারপুলের হয়ে প্রথম মৌসুমে ৪৪ গোল করে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের কাতারে উঠে আসেন তিনি, খেলেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালও। ২৮ বছর পর এই সালাহ-র ওপর ভর করেই বিশ্বকাপ খেলেছে মিসর। সালাহ-র আগের মৌসুমের দুর্দান্ত ফর্ম এই মৌসুমেও দেখা যাচ্ছে। সেদিনই নাপোলির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে বাঁচা–মরার লড়াইয়ে গোল করে দলকে নিয়ে গেলেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তাই সালাহর হাতে তুলে দিতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি বিবিসি কর্তৃপক্ষের।

চূড়ান্ত তালিকায় সালাহ ছাড়াও আরও ছিলেন তাঁর লিভারপুল–সতীর্থ সাদিও মানে, আর্সেনালের দুই তারকা—গ্যাবনিজ স্ট্রাইকার পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং ও নাইজেরিয়ার উইঙ্গার অ্যালেক্স ইওবি, জুভেন্টাসের হয়ে খেলা মরক্কোর সেন্টারব্যাক মেধি বেনাশিয়া, ম্যানচেস্টার সিটির আলজেরীয় উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজ, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলা ঘানার মিডফিল্ডার থমাস পার্টে, আয়াক্সে খেলা ঘানার গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা, তিউনিসিয়ার উইঙ্গার আনিস বদ্রি, আল আহলির মিসরীয় উইঙ্গার ওয়ালিদ সোলিমান।

নাপোলির হয়ে দুর্দান্ত মৌসুম কাটানো সত্ত্বেও এই তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেননি সেনেগালের হয়ে খেলা সেন্টারব্যাক কালিদু কোলিবালি। তালিকায় অনুপস্থিত খেলোয়াড়দের মধ্যে আরও রয়েছেন আয়াক্সে খেলা মরক্কোর মিডফিল্ডার হাকিম জিয়েচ, এসি মিলানে খেলা আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক কেসি, লেস্টার সিটির নাইজেরিয়ার মিডফিল্ডার উইলফ্রেড এনদিদি, টটেনহামের হয়ে খেলা আইভরি কোস্টের ডিফেন্ডার সার্জ অরিয়ের, ক্রিস্টাল প্যালেসের হয়ে খেলা আইভরি কোস্টের উইঙ্গার উইলফ্রেড জাহা প্রমুখ।

২০১৭ সালেও এই পুরস্কার জিতেছিলেন সালাহ। ফলে এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো পুরস্কারটা জেতা হয়ে গেল তাঁর। তাঁর আগে টানা দুইবার এই পুরস্কার জয়ের কৃতিত্ব শুধু একজন দেখিয়েছিলেন—বোল্টন ওয়ান্ডারার্স ও পিএসজির মতো ক্লাবে খেলা নাইজেরীয় মিডফিল্ডার জে-জে ওকোচা।