কানাডার এক হাসপাতালে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা কাদের খান।দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যু কালে তার বয়েস হয়েছিল ৮১ বছর। কয়েক দিন আগেই গুজব রটেছিল তিনি আর নেই। সেই গুজবকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন কাদের খানের ছেলে। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ ঠিকই কিন্তু জীবিত রয়েছেন। এবার পরিবারের পক্ষ থেকেই তাঁর মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হলো।
বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার পাশাপাশি শেষ দিকে কাদের খান শ্বাসকষ্টেও ভুগছিলেন। দুই দিন আগে জানা যায়, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সম্প্রতি তাঁকে কানাডার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যতক্ষণ জ্ঞান ছিল, ততক্ষণ চোখের ইশারায় যোগাযোগ করলেও কথা বলতে পারছিলেন না। চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রুত নিবিড় পর্যবেক্ষণে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময় তাঁর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। তাঁকে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল।
গত রোববার রাতে ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, কাদের খান মারা গেছেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাতভর অনেক ভক্ত আর সাধারণ দর্শক বলিউডের এই বরেণ্য অভিনেতাকে স্মরণ করে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর হিড়িক পড়ে যায়। খবরটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য বার্তা সংস্থা পিটিআই থেকে সরফরাজ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন বাবাকে নিয়ে এ ধরনের খবর প্রচার হওয়ায় তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, খবরটা মিথ্যা। পুরোটাই গুজব। হাসপাতালে চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর বাবার শারীরিক পরিস্থিতির ওপর ২৪ ঘণ্টা খেয়াল রাখছে। তবে কাদের খানের অবস্থা সংকটজনক।
১৯৩৭ সালের ২২ অক্টোবর কাবুলে কাদের খানের জন্ম হয়। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ে ঝোঁক ছিল তাঁর। ইঞ্জিনিয়রিং পড়তে পড়তে থিয়েটারে। ৩০০ এর বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন কাদের খান। ১৯৭৩ প্রথম অভিনয় যশ চোপড়ার ‘দাগ’ ছবিতে। তারপর আর ফিরে তাকা তে হয়নি তাঁকে। বহু বিখ্যাত ছবির স্ক্রিন প্লে লিখিয়ে হিসেবেও কাদের খান জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন।