জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় তথাকথিত পাকিস্তানের নৃশংস ‘জঙ্গি’ হামলার প্রতিবাদে সোচ্চার ভারত। এ ঘটনার ছাপ পড়তে শুরু করেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের ক্রিকেট সম্পর্ককেও। একযোগে এ ঘৃণ্য হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক, বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটারসহ সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে নিহত সেনাদের পরিবারকে অর্থসহায়তা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানি মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ধিক্কার জানিয়েছেন সবাই।
ইতিমধ্যে এর জেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও '৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক ইমরান খানসহ একাধিক ক্রিকেটারের ছবি ঢেকে দিয়েছে মুম্বাইয়ের ঐতিহ্যবাহী ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া (সিসিআই)। মোহালি থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়েছে শহীদ আফ্রিদি, ওয়াসিম আকরামসহ একাধিক ক্রিকেটারের ছবি। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা আইএমজি-রিলায়েন্সও টুর্নামেন্টটির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে।
এমনকি আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটেরও দাবি উঠেছে। সর্বপ্রথম এ দাবি তোলেন সিসিআই সচিব সুরেশ বাফনা। ধীরে ধীরে সেই দাবি জোরালো হচ্ছে। সদ্য সেই সুরে তাল মিলিয়েছেন সাবেক ভারতীয় অফস্পিনার হরভজন সিং। বিশিষ্টজনরাও এর পক্ষে মত দিচ্ছেন।
এ নিয়ে মুখ খুলেছেন আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা। তিনি বলেন, বর্বর এই হামলায় রাগে-ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা ভারত। সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের দাবিতে সোচ্চার দেশের আপামর জনসাধারণ। স্টেডিয়াম থেকে ইমরান খানসহ একাধিক পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ছবি সরিয়ে দেয়া এরই অংশ।
তিনি আরও বলেন, এখনই বিষয়টি আমরা বলতে পারব না। বিশ্বকাপ অনেক দূরে রয়েছে। আমরা দেখব কী হয়। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। সরকারের তরফ থেকে অনুমতি না পেলে আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলব না। খেলা সবসময় রাজনীতি বা সন্ত্রাসবাদের ওপরে থাকা উচিত। কিন্তু কেউ যদি সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়, তাহলে তা অবশ্যই খেলার ওপর প্রভাব ফেলে।
চলতি বছরের ৩০ মে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে গড়াবে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরের সূচি অনুয়ায়ী, ১৬ জুন ওল্ড ট্রাফোর্ডে হওয়ার কথা পাকিস্তান-ভারতের ব্যাট-বলের ‘যুদ্ধ’। সেই মহারণ এখন হয় কিনা, তাই দেখার।