দীপিকা পাড়ুকোনের ‘ছপাক’ ছবিটি ১০ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মুক্তির আগেই আইনি জটিলতার পড়লো ছবিটি। ছপাকের চিত্রনাট্য লেখার ক্রেডিট নিয়ে এবার মুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাকেশ ভারতী নামে এক লেখক। তার দাবি, ছপাক ছবি চিত্রনাট্য তিনি লিখেছেন অথচ ছবি লেখার ক্রেডিট তাকে দেওয়া হচ্ছে না। তাই ছবির চিত্রনাট্যের ক্রেডিটের দাবিতে মুম্বাই হাইকোর্টে পিটিশন ফাইল করেছেন রাকেশ ভারতী।
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘পিটিশনে লেখা রয়েছে, অনেকদিন ধরেই গল্পটি নিয়ে বিভিন্ন শিল্পীদের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এমনকি প্রযোজকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছিলেন রাকেশ।’
রাকেশ ভারতীর দাবি, ‘তিনি তার গল্পটি নিয়ে বেশ কয়েকজন শিল্পীর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং ছবির প্রযোজকরা সম্পূর্ণ গল্পটাই রেখেছেন। যা মূলত তারই মস্তিষ্কপ্রসূত। যদিও প্রথমদিকে, সব শিল্পীরাই তাদের কাজটি নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তবে কোনও না কোনও কারণে বিষয়টি পেছাতে থাকেন, ফলস্বরূপ, তিনি ছেলের সঙ্গে ছবিটির প্রযোজনার কাজ শুরু করতে পারেননি।’
রাকেশ আরও দাবি করেন, ‘ছপাক’ নির্মাতাদের বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ী আদেশ জারি করা দরকার এবং যতক্ষণ না তাকে ছবি লেখার কৃতিত্ব তাকে দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ সিনেমাহলে যেন মুক্তি না পায়। অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবন কাহিনীই সেলুলয়েডের পর্দায় নিয়ে আসছেন মেঘনা গুলজার।
১২ বছর বয়সে অ্যাসিড হামলা হয়েছিল লক্ষ্মীর উপর। ২০১৪ সালে লক্ষ্মী আগরওয়ালকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কারও প্রদান করেছিলেন মিশেল ওবামা। সেই আঙ্গিকেই ‘ছপাক’ নির্মাণ করা হয়েছে। পরিচালক যখন ছবিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তখন তিনি লক্ষ্মীর সঙ্গে কথাও বলেন। এরপর প্রযোজক ও পরিচালক মোট ১৩ লক্ষ টাকায় বিনিময়ে তার গল্পটি পর্দায় তুলে আনার কথা বলেন। লক্ষ্মী আগরওয়ালকে কপিরাইটের জন্য ১৩ লক্ষ টাকা দেন তারা। প্রথমে লক্ষ্মী কিছু বলেননি। কিন্তু কয়েকদিন আগে তিনি বেঁকে বসেছিলেন। তার জীবনের গল্প পর্দায় দেখানোর জন্য আরও বেশি টাকা দাবি করেন।