অল্প বয়সী তরুণ-তরুনীরাও করোনাভাইরাস প্রতিরোধী নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ কথা বলে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, তরুণদের বেছে নেওয়া সিদ্ধান্ত ‘অন্য কারও জন্য জীবন এবং মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য’ তৈরি করতে পারে।
বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আড়াই লাখ পার হয়ে গেছে।
বয়স্ক রোগীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি বলে অনেক দেশেই তরুণেরা স্বাস্থ্য সতর্কতা নিয়ে আত্মসন্তুষ্ট। এ নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের মন্তব্যে সে একই বিষয় ফুটে উঠেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এখন এ মহামারির কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ইউরোপ।
ইতালিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার দেশটিতে ৬২৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ৩২।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে
জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে টেড্রস অ্যাডহানম বলেন, যদিও বয়স্ক ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি আঘাত পান, তবু অল্প বয়স্ক লোকদের এড়ানো যায় না।
তরুণদের উদ্দেশে টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘তরুণদের জন্য আমার একটি বার্তা আছে: তোমরা “অজেয় নও”। এই ভাইরাস তোমাদের কয়েক সপ্তাহের জন্য হাসপাতালে পাঠাতে পারে। এমনকি মৃত্যুর মুখেও ঠেলে দিতে পারে। হয়তো তোমাদের অসুখ হবে না। কিন্তু তোমাদের অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরা আরেকজনকে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে ঠেলে দিতে পারে।’
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর বিশ্বের বাকি দেশগুলোকে আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস।
গবেষণায় দেখা গেছে, সব বয়সী মানুষই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে তা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশি বিপজ্জনক। ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের গড় বয়স ৭৮ দশমিক ৫। নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, চীনে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে ৫০ বছরের নিচে বয়সীর সংখ্যা ১ শতাংশের কম। তবে যাঁদের বয়স ৮০–এর বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ১৫ শতাংশের বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ মারিয়া কার্কহোভ বলেন, ‘আমরা চাই মানুষ ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ রেখে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখুন। এটা শরীর সুস্থ রাখার মতোই জরুরি।’