করোনাভাইরাসের কারণে সব ভাড়াটিয়ার ভাড়া মওকুফ করে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রাজধানীর জুরাইনের দারোগাবাড়ি ১ নম্বর সড়কের শেখ শিউলি হাবিব।তিনি একটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক ।শিউলি হাবিব তার ভাড়াটিয়াদের মার্চ মাসের ভাড়া মওকুফ করেছেন।
এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করার কারণে বাংলাদেশের সবকিছুই স্থগিত হয়ে গেছে। কর্মজীবী মানুষ কর্মস্থলে যেতে পারছেন না, তাই আমি এ দেশের একজন ক্ষুদ্র নাগরিক হিসেবে আমার বাসার সব ভাড়াটিয়ার মার্চ মাসের ভাড়া মওকুফ করে দিলাম।
এবার একই সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা ও তার পরিবার।
করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির খবরও আসছে। এসব বিবেচনা করে চলতি মাসে ভাড়াটিয়াদের থেকে বাড়ি ভাড়া নেবেন না অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার বাবা হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও মা রেহানা হাবিব।রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় ৬ তলা ভবন রয়েছে ভাবনাদের। ভবনটিতে ছয়টি পরিবার ভাড়া থাকেন।
এসব ভাড়াটিয়াদের থেকে মার্চ মাসের ভাড়া নেবেন বলে জানালেন ভাবনার বাবা ‘রাত্রীর যাত্রী’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাবিব।
এক গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সময়টা বেশ খারাপ। সারাবিশ্বের একই অবস্থা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মানুষ ঘর থেকেই বের হতে পারছেন না। তিনি বলেন, সংকটই যতই আসুক, তা আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। মানুষের জন্য তো মানুষকেই এগিয়ে আসতে হয়। তারপরও দুর্যোগকে পুঁজি করে অসাধু একটি শ্রেণি ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে। করোনা পরিস্থিতিতেও সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীদের আমরা দেখছি। আর এ সব দিক বিবেচনা করেই আমাদের সাধ্যের মধ্যে কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। হয়তো ক্ষমতা থাকলে আরো করতাম।
ভাবনার বাবা হাবিব মনে করেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপে দেশের এই পরিস্থিতিতে রাজধানীসহ সারা দেশের অন্যান্য বাড়িওয়ালারাও যদি এমনটা করেন তাহলে হয় তো অনেক পরিবারের মুখে এই সংকটের দিনে হাসি ফুটবে। আশা প্রকাশ করেন, শিগগিরই বিশ্ব এই সংকট থেকে মুক্তি পাবে।
শিউলি হাবিব ও ভাবনার বাবা হাবিবুল ইসলাম হাবিব দুজনেই আশাবাদী, তাদের দেখাদেখি দেশের সব বাড়িয়াওলার এই দুর্যোগের সময় ভাড়াটিয়াদের পাশে দাঁড়াবেন।