কলকাতার জনপ্রিয় ও আলোচিত অভিনয়শিল্পী শ্রীলেখা মিত্র লকডাউনের সময় রাস্তার কুকুরদের খাওয়াতে গিয়ে অপমানিত হয়েছেন ।তিনি জানান, লকডাউনের সময় কখনও ম্যাগি খেয়ে আবার কখনও সকালে না খেয়ে, রাস্তার কুকুরদের খাওয়াচ্ছেন তিনি। অথচ এই কাজের জন্য অপদস্ত হতে হচ্ছে তাকে।
সম্প্রতি একটি ভিডিওতে শ্রীলেখাকে এমন অভিযোগ করতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে তিনি জানান, বর্তমানে বড়লোকদের বস্তিতে থাকেন তিনি। সেখানকার মানুষের অর্থই রয়েছে কিন্তু মন বলে কিছু নেই।
শ্রীলেখার অভিযোগ, যে সোসাইটিতে তিনি রয়েছেন, সেখানকার মানুষ বার বার অপমান করছেন তাকে। অপদস্থ করা হচ্ছে। একা নারী থাকেন বলে তারা কীভাবে এতটা সাহস পান, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মহামারী করোনা পরিস্থিতির সময় কয়েকজন সংসদ সদস্যের মাস্ক পরা ছবি সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করায় তারও সমালোচনা করেন এই অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমানে এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে সবাইকে যেতে হচ্ছে, যেখানে একমুঠো চালের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে অনেক মানুষকে। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হয়েও কেউ কেউ মানুষের কথা ভাবছেন না। মুখে মাস্ক পরে রূপচর্চা করছেন তারা।
‘কখনও কেউ আবার রান্নার ভিডিও শেয়ার করছেন। দয়া করে এসব করবেন না এখন। নিজেদের রান্নার ছবি নিজেদের কাছে রাখুন কারণ অনেক মানুষের এখন খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
টালিউডের এই সুন্দরী আরও বলেন, কেউ যদি রাস্তার কুকুরদের খাওয়ানো নিয়ে তার সঙ্গে ঝামেলা করেন, তাহলে তাকে ছেড়ে দেবেন না তিনি। তাই তাকে যেন কেউ অপমান করতে না আসেন।
কথা বলতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়ই শ্রীলেখাকে অঝোরে কাঁদতেও দেখা গেছে।
ভিডিওর শেষ দিকে আবেগাপ্লুত হয়ে তাকে এও বলতে শোনা গেছে, আমি আর মানুষের সঙ্গে থাকতে চাই না, পশুদের সঙ্গে থাকতে চাই। আমার মাঝে মাঝে আর বাঁচতে ইচ্ছে করে না।