সারা ভারত টানা ২১ দিনের লকডাউনে আটকে আছে ।বলিউড তারকারা ঘরে ঢুকে পড়েছেন । লকডাউন বলে আলোচনায় থাকবেন না তারকারা, তাই কি হয়? সেখান থেকেই ইনস্টাগ্রাম ও গণমাধ্যমে ভক্তদের জন্য প্রতিনিয়ত বিনোদন জুগিয়ে যাচ্ছেন। যেমন টুইটারে শহীদ কাপুর জানালেন লকডাউনের দিনগুলোতে কিভাবে স্ত্রীকে সুখে রাখার যায়।
এক ভক্ত শহীদ কাপুরের কাছে টুইটারে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন যে, এর আগে কোনো দিন ঘরে স্ত্রীর সঙ্গে এত দীর্ঘ সময় একসঙ্গে কাটানো হয়নি। তাই তিনি আশঙ্কা করছেন, প্রতি বেলা বোধ হয় ঝগড়া করেই যাবেন। কীভাবে শান্তিতে দিনগুলো কাটানো যায়, সেই বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন ‘কবির সিং’ শহীদ কাপুরের কাছে।
শহীদ কাপুর এক লাইনে দিয়ে দিয়েছেন সেই উত্তর। বলেছেন, ‘মনে রাখবেন, স্ত্রী সব বসের ওপরের বস। তাই স্ত্রী যা বলেন, তা–ই শুনুন। এই দিনগুলোতে স্ত্রীর সেবা করে যান।’ স্ত্রীর সঙ্গে কোনো কিছুতে দ্বিমত পোষণ করতে নিষেধ করেছেন শহীদ কাপুর। বলেছেন, স্ত্রীর হ্যাঁ–তে হ্যাঁ, না–তে না বলুন।
এক ভক্ত জানতে চেয়েছেন, এই ভয়ংকর কঠিন সময়ে তিনি কীভাবে হতাশ না হয়ে নিজের মনকে ইতিবাচক রাখবেন। শহীদ কাপুর তারও জবাব দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘ভেঙে পড়লে অবস্থার বিন্দুমাত্র উন্নতি হবে না। আমাদের নিজেদের সাহায্য করতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা বানাতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজের ভেতর ব্যস্ত থাকতে হবে।’
ইনস্টাগ্রামে করোনা থেকে নিজেকে ও নিজেদের বাঁচাতে একের পর এক পোস্ট দিচ্ছেন এই তারকা। লিখেছেন, ‘দয়া করে কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। মনোবল বাড়ান। ভালোবাসা ছড়ান। যে মানুষগুলো আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিদিন তাঁদের খোঁজ নিন। মেডিটেশন করুন। পড়ুন। রান্না করুন। আকাশের রং বদলানো দেখুন। প্রার্থনা করুন। ২১ দিন কেটে যাবে।’
‘কবির সিং’ যত বড় হিটই হোক না কেন, শহীদ কাপুরের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন ২০১৫ সালের ৭ জুলাই। সেদিন এই বলিউড তারকা সাত পাকে বাঁধা পড়েন মীরা রাজপুতের সঙ্গে। আর এখন তাঁরা বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি। মজার বিষয় হলো, যখন তাঁরা বিয়ে করেন, তখন শহীদ কাপুরের বয়স ৩৫ আর মীরা রাজপুতের ২১। তাঁদের বয়সের ফারাক ১৪ বছরের!
মীরা রাজপুত শহীদ কাপুরের এই বয়সকে দেখছেন অভিজ্ঞতার ভান্ডার হিসেবে। তিনি বলেন, এই তারকা অভিনেতার বয়সের অভিজ্ঞতা তাঁর সংসারজীবনকে সহজ করেছে। তিনি সব সময় এই অভিজ্ঞতার সুবিধা ভোগ করেন।
এক সাক্ষাৎকারে শহীদ কাপুর ফিরে গেছেন পেছনে, বিয়ের একেবারে প্রথম দিনগুলোতে। বললেন, ‘মীরা খুব অল্প বয়সে বিয়ে করেছে। যখন নিজেই কেবল কৈশোর পেরিয়েছে, তখন দুটি বাচ্চার মা হয়েছে। তার হয়তো সেই বয়সে অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সেসব পাশে রেখে তাকে স্ত্রী আর মায়ের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। অনেক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমাদের বয়সের পার্থক্য ১৪ বছর। আমরা দুজনে মিলে সন্তানদের বড় করছি। সব মিলিয়ে, সবকিছুতে এখন একটা ছন্দ চলে এসেছে। আমদের জীবনযাপনের মধ্যেও এখন চমৎকার সুর আছে।’
শহীদ কাপুরের স্ত্রী মীরা রাজপুত পড়াশোনা করেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, সাহিত্যে। আর সেখানে রেকর্ড পরিমাণ নম্বর পেয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। মীরাকে জীবনের সবচেয়ে বড় বাস্তবতা উল্লেখ করে শহীদ কাপুর বলেন, ‘আমরা এখন একসঙ্গে পথচলা শিখে গেছি এখন আমরা একজন আরেকজনের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। । একটা বোঝাপড়া, নির্ভরতা আর অভ্যস্ততা তৈরি হয়ে গেছে আমাদের মধ্যে।