৩৬ বছর আগের কথা। ‘বলিউডের বাদশাহ’ শাহরুখের বয়স ছিল ১৮ আর গৌরীর ১৪ বছর।। এই ঘটনার ৭ বছর পর, ১৯৯১ সাল তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
শাহরুখের মুখেই শোনা যাক তাঁর প্রেমকাহিনির একাংশ। ‘১৯৮৪ সালে ঘটনা ঘটল। তুমুল প্রেমে পড়লাম গৌরী নামের এক মেয়ের। আমার বাড়ি ছিল হুজ খাসে ওর বাড়ি ছিল পঞ্চশিলে । প্রেমে পড়লে যেকোনো তরুণ যা করত, আমিও বোকার মতো তা–ই করলাম। পার্কে, রেস্টুরেন্টে প্রেমিকাকে পটাতে গাইলাম,“গৌরী তেরা গাঁও বারা প্যায়ারা...”।
ওই ভিডিওতে মজা করে শাহরুখ আরও বললেন, ‘আমার গান শুনেও গৌরী আমাকে ছেড়ে যায়নি। ও মুখের ওপর বলেছিল, “ফালতু”। ওর নাকি খুবই “সস্তা” লেগেছিল আমার গান। ভাগ্যিস আমাকে না।’ বহু পুরোনো এই সাক্ষাৎকারে নিজের প্রেমের কথা বলেছিলেন শাহরুখ।
সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। করোনার দিনে লকডাউনে ভক্তরা পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখছেন পুরোনো শাহরুখকে। তাই হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই ভিডিও।
শাহরুখ খান আর গৌরী খানের প্রথম দেখা ১৯৮৪ সালে। দিল্লির পঞ্চশিলা ক্লাবে। তখন শাহরুখ খান এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’ বাগধারাটি সত্যি। সেই প্রথম দেখাতেই গৌরীর প্রেমে পড়েছিলেন শাহরুখ। শাহরুখ যখন কেবলই একজন সাধারণ শাহরুখ, সেই সময় থেকে আজকের বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী নায়ক হওয়া পর্যন্ত তাঁর হাত শক্ত করে ধরে ছিলেন যে গৌরী খান।
দেখতে দেখতে শাহরুখ খান ও গৌরি দম্পতি ২৮ বসন্ত পার করলেন এক ছাদের নিচে। কত কাব্য, মহাকাব্য রচিত হলো এই সময়ে। কত ছবি ব্লকবাস্টার হিট করল, ফ্লপ করল। দেখতে দেখতে বড় হয়ে গেল আরিয়ান আর সুহানা। বলেছেন, ‘জীবন কাটিয়ে দিলাম শুটিংয়ের সেটে। আমার ক্যারিয়ার আমার স্ত্রী আর সন্তানদের আত্মত্যাগে গড়া। আরিয়ান আর সুহানা কীভাবে বড় হয়ে গেল, টেরই পেলাম না। হঠাৎ একদিন দেখলাম, ওরা বড় হয়ে গেছে। ওদের শৈশবে আমি নেই। আমি জানি না কীভাবে হাঁটা শিখল ওরা। আর এখন স্নাতক শেষ করার পথে। তাই এইবার আমি চাই স্ত্রী তাঁর স্বামীর সঙ্গে সময় কাটাক, সন্তানেরা ফিরে পাক বাবাকে।’তাই করোনার সময়টা ভালোই কাজে লাগাচ্ছেন