রিয়া চক্রবর্তীর পর এবার ভারতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)'র নজর অঙ্কিতা লোখান্ডের দিকে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ইডি'র এক কর্মকর্তার দাবি, তারা সুশান্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে বুঝতে পেরেছেন যে, অঙ্কিতার সাড়ে চার কোটি টাকার ফ্ল্যাটের বিপুল পরিমাণ মাসিক কিস্তি দিতেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। যা মানতে নারাজ সুশান্তের প্রাক্তন বান্ধবী। অঙ্কিতা আজ নিজের ব্যাংক আ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে দাবি করেন, সুশান্ত কখনই তার ফ্ল্যাটের ইএমআই দিতেন না। টাকা যেত তার অ্যাকাউন্ট থেকেই
সুশান্তের বাবা কে কে সিংহ প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী রিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ এনে এফআইআর করেছিলেন। সেই অভিযোগে কোথাও অঙ্কিতার নাম ছিল না। কিন্তু গতকাল একটি বেসরকারি খবরের চ্যানেল ইডি'র এক অফিসারকে উদ্ধৃত করে জানায়, অঙ্কিতা লোখান্ডের মতো সুশান্তের অন্যান্য ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখবে ইডি। কারণ হিসেবে সেই ইডি অফিসার বলেছিলেন, অঙ্কিতার ফ্ল্যাটের ইএমআই যেত সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকেই। তার আরো দাবি, যে ফ্ল্যাটে অঙ্কিতা থাকেন, সেটির রেজিস্ট্রেশনও সুশান্তের নামেই করা। ইডি'র এই দাবি 'সত্য নয়' মন্তব্য করে আজ ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন অঙ্কিতা। সেখানে তিনি তার ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশনের দলিলের ও ব্যাংক স্টেটমেন্টের ছবি দিয়েছেন। ফ্ল্যাটটি যে তারই নামে এবং ইএমআইয়ের টাকা যে তার অ্যাকাউন্ট থেকেই যাচ্ছে, তা বোঝাতে কিছু কিছু জায়গা হাইলাইটও করে দিয়েছেন অঙ্কিতা। ছবির সঙ্গে পোস্টে লিখেছেন, আশা করি, এর পরে আমাকে ঘিরে অহেতুক জল্পনা হবে না। প্রসঙ্গত, অঙ্কিতা প্রথম থেকেই সুশান্তের পরিবারকে ও সিবিআই তদন্তের দাবিকে সমর্থন করে এসেছেন।
আজ সুশান্তের বাবার আইনজীবী বিকাশ সিংহ মুম্বাই পুলিশের তদন্তের স্বচ্ছতা সম্পর্কে ফের প্রশ্ন তুলে দাবি করেন, তিনি যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেখেছেন, তাতে একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নেই, তা হলো মৃত্যুর সময়। বিকাশের কথায়, মুম্বাই পুলিশ অত্যন্ত দক্ষ। কিন্তু যখন কোনো মন্ত্রী তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে, তারা কী করে ঠিক মতো তদন্ত চালাবে! তার দাবি, মৃত্যুর সময় থেকেই স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে যে, সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিলেন, নাকি তাকে খুন করা হয়েছিল। মুম্বাই পুলিশ ও কুপার হাসপাতালকে এই তথ্য জানাতেই হবে।