যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘ডেথ ভ্যালি’-তে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে গত রোববার ১৯১৩ সালের পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৫৪.৪ ডিগ্রি সে.) রেকর্ড করা হয়।এটিকেই এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এই তাপমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস।
দেশটির পশ্চিম উপকূলজুড়ে তাপপ্রবাহ চলতে থাকায় এই সপ্তাহে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে ডেথ ভ্যালিতে ৫৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। প্রায় এক শতাব্দী আগে এই ডেথ ভ্যালিতে ৫৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তবে সেই রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ১৯৩১ সালে তিউনিসিয়াতে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয় বলে জানা যায়।
রোববারের পর গতকাল সোমবারেও ডেথ ভ্যালির তাপমাত্রা ৫৩ ডিগ্রি থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা ও উটাহ এলাকার বাসিন্দাদের বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটার মধ্যে বাইরে চলাচল সীমিত রাখতে বলা হয়। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গত শনিবারই বিকল হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ কারণে টানা দুদিন ধরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ওই অঞ্চল।
ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে কর্মরত ব্রান্ডি স্টুয়ার্ট বলেছেন, ‘মারাত্মক গরম, যেন মুখ পুড়ে যায়।’মাঝে বিরতি দিয়ে পাঁচ বছর ধরে পার্কে কাজের পাশাপাশি বসবাসও করে থাকেন স্টুয়ার্ট। বাইরে থাকা কষ্টদায়ক হয়ে যাওয়ায় আগস্ট মাসের বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে কাটাতে হয় ঘরের ভেতর। তিনি বলেন, ‘বাইরে হাঁটলে মনে হবে যেন মুখে হেয়ারড্রায়ার (চুল শুকানোর যন্ত্র) দিয়ে কেউ তাপ দিচ্ছে। গরম টের পাবেন, মনে হবে যেন চুলার মধ্য দিয়ে হাঁটছেন আর চারপাশে তাপ ছড়ানো।’