রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। যদিও সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়ার আগে অবধি মানুষ তেমন ভাবে রিয়াকে চিনতেন না। মডেলিং করলেও এখন পর্যন্ত কোনও হিট সিনেমা তার নেই।
সুশান্তের মৃত্যুর পর তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সেসব কিছু আরও জোরদার হয়েছে জুলাই মাসে কেকে সিং-এর এফআইআর দায়েরের পর। আর তার জের ধরেই নতুন এক সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হলো রিয়াকে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের জীবনের সবকিছু পালটে যেতে শুরু করে। সুশান্তের বোন প্রিয়াঙ্কা সিং ভাইয়ের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এসএসআর-এর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন রিয়া চক্রবর্তী। এরপরই সুশান্তের সঙ্গে তাঁর বাড়ির কর্মীদের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এক সাক্ষাতকারে রজত দাবি করেন, রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকেই সুশান্তের জীবন ধরণ পালটে যেতে শুরু করে। সুশান্তের ম্যানেজার শ্রুতি মোদিকেও নিয়োগ করেন রিয়া। সিদ্ধার্থ পিটানিকেও সুশান্তের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাজির করেন রিয়া চক্রবর্তী। পুরনো কর্মীদের সব একে একে ছাটাই করে নতুনদের নিয়োগ করতে শুরু করেন রিয়া। এমনকী, কারও সঙ্গেই সুশান্তকে কথা বলতে দেওয়া হতো না। কর্মীদের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীই ফোন করে কথা বলতেন বলেও দাবি করেন রজত।
এসবের পাশাপাশি রিয়া চক্রবর্তী কালো যাদু করতেন বলেও দাবি করেন রজত মেওয়াটি। সুশান্তের উপর সেই কালো যাদুর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা রিয়া করতেন বলও দাবি করেন প্রয়াত অভিনেতার এক সময়ের অ্যাকাউন্ট্যান্ট।
রিয়ার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া থেকে শুরু করে টাকা চুরি একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। রিয়া ও তার পরিবারকে তলব করেছে ইডি। বেশ কয়েকবার জেরার পর মন মত উত্তর না পাওয়ায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের সমস্ত গ্যাজেটস। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে এই মামলা। সেখানেও হাজিরা দিচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ফলে নানা কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের কাছে এখন ভাইরাল রিয়া।
সুশান্তের মামলার এখনও নিষ্পত্তি না হওয়ায় কোর্টে প্রায়ই হাজিরা দিতে হবে রিয়াকে। তলব করবে ইডিও। এছাড়াও গোটা দেশ এখন রিয়ার বিরুদ্ধে। ফলে নানারকম আশঙ্কা থেকেই পরবর্তী ছবি থেকে রিয়াকে বাদ দিলেন পরিচালক লোম হর্ষ। এই চিত্রনাট্যকার পরিচালকের কথায়, রিয়ার সঙ্গে এই সিনেমা নিয়ে অনেকদিন আগেই তার কথা হয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। লোম হর্ষ বলেন, রিয়া ভাবছেন তার বয়স মাত্র ২৮, ক্যারিয়ার সুরক্ষিত। কিন্তু রিয়ার বলিউড যাত্রার এখানেই ইতি। আমি বা প্রযোজক বোকা নই যে রিয়ার খেলা ধরতে পারব না। সবাই বুঝে গিয়েছে রিয়া কি জিনিস। আর ও যদি সত্যি সুশান্তকে ভালোবাসত তাহলে অন্তত একবার সত্যি কথাটা প্রকাশ্যে বলতে পারত।
বলিউড কেন, পুরো দেশই উত্তাল রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এই মুহূর্তে রিয়াকে অভিনয়ের সুযোগ দিলে তাদের সিনেমায় আর্থিক ক্ষতিও হতে পারে।