মীরাক্কেল বেশ কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে।এ প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে প্রথম থেকেই ছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রজতাভ দত্তের সঙ্গে বরাবরই বিচারকের আসনে দেখা গেছে ভারতের এই সুপরিচিত অভিনয়শিল্পীকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হচ্ছে, এবারের প্রতিযোগিতায় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র থাকছেন না।ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রীলেখা মিত্র নিজেই জানিয়েছেন, ফিরেছে মীরাক্কেল, কিন্তু বিচারকের আসন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
ফেসবুকের পোস্টে শ্রীলেখা লেখেন, বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমেডি শো মীরাক্কেল শুরু হতে চলেছে আমাকে ছাড়া। সত্যি কথা বলার মূল্য এভাবেই দিতে হয় আমাকে। আসলে কাউকে তেল না দেওয়া, কিংবা ব্র্যান্ডের প্রতি একনিষ্ঠ থাকাই হল এ মূল্য। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে। আপনি ঠিকই বলেছেন আমি নিজেক খামতিগুলো অকপটে মেনে নিচ্ছি। যারা আমাকে পছন্দ করেন না তারা এবার আনন্দে পার্টি করুন।
এরপর তিনি লেখেন, ‘এই সব ঘটনাই প্রমাণ করে, ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে নেপোটিজম কীভাবে চলছে। এই সব কিছুই প্রমাণ করে যে আমার ইউটিউব চ্যানেলে ওই বিস্ফোরক তথ্যগুলো তুলে ধরে আমি ঠিক কাজই করেছিলাম। এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়; বরং অন্য রকম হলেই আমি অবাক হতাম। আর লেডি, তোমার ছোট প্রশ্নকে আমি এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই বেছে নিয়েছি। আপনি আমার খামতি ঠিকই ধরেছেন, কিন্তু খামতি নিয়ে আমি এখন কথা বলতে চাই না। আমার ভুল আমি নম্রতার সঙ্গে স্বীকার করি। এই সামাজিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমি লড়াই করতে অক্ষম, তবে মাথা নিচু করব না। আপনারা সবাই খুব ভালো কাজ করুন। জীবন একটা বড় কমেডি শো। সবাই ভালো থাকবেন। সাবধানে থাকবেন।’
যে চ্যানেলকে এত দিন ধরে তিনি পরিবার ভেবে এসেছেন, তাঁর ভাবনায় যে ভুল ছিল; আজ তা তিনি বুঝতে পেরেছেন। আর্থিক ক্ষতি তাঁর হলোই, সেই সঙ্গে মানসিক ক্ষতিও হলো। কারণ, এই শোয়ের সঙ্গে তাঁর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে ছিল। তবে এরপর যদি অন্য কোনো মৌসুমেও তাঁকে মীরাক্কেলের বিচারক হিসেবে ডাকা হয়, তিনি আর যাবেন না। কারণ, তাঁর কাছে আত্মমর্যাদার দাম অনেক বেশি। তবে শ্রীলেখাহীন মীরাক্কেল মানতে পারছেন না তাঁর অনুরাগীরা।
যদিও এক দশকের বেশি সময় ধরে মীরাক্কেলের বিচারকের আসনে রয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র। তবে শ্রীলেখার জায়গায় কাকে দেখা যাবে তা নিয়েই জল্পনা চলছে। জানা গেছে, নুসরাত জাহান, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কিংবা পাওলি দামকে বিচারকের আসনে দেখা যেতে পারে। কথাবার্তা চলছে তবে এখনই কিছু চূড়ান্ত হয়নি।