সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন অভিনেতা সাদেক বাচ্চু। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরেণ্য এই অভিনেতাকে হারিয়ে শোক প্রকাশ করছেন তার ভক্ত ও অনুরাগীরা।
সম্প্রতি তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ৬ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর জানা যায় এ অভিনেতা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
পরে সাদেক বাচ্চুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিলো। সেখানে আইসিইউতে ছিলেন এই অভিনেতা।
বেশ কিছুদিন ধরেই অভিনয়ে অনিয়মিত সাদেক বাচ্চু। পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও সিনেমায় ছিল তাঁর পদচারণ। নব্বইয়ের দশকে পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী’ ছবিতে অভিনয় করে পরিচিতি পান তিনি। রেডিও বা টেলিভিশনের আগে তিনি অভিনয় শুরু করেন মঞ্চে। তাঁর নাট্যদলের নাম মতিঝিল থিয়েটার; এমনকি এখনো তিনি দলটির সভাপতি। এখনো নাটক লেখেন, নির্দেশনা দেন। চলতি বছর বইমেলার মুক্তমঞ্চে নাটক নিয়ে ওঠে তাঁদের দলটি।
মহিলা সমিতির মঞ্চে এক নাটকে সাদেক বাচ্চুর অভিনয় দেখে তাঁকে বিটিভিতে ডেকে নেন প্রযোজক আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমাম। ১৯৭৪ সালে বিটিভিতে তিনি অভিনয় করেন ‘প্রথম অঙ্গীকার’ নাটকে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত নাটকের সংখ্যা হাজারের বেশি। প্রথম অভিনীত সিনেমা শহীদুল আমিন পরিচালিত ‘রামের সুমতি’।
বহুমাত্রিক এই অভিনেতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’, ‘জীবননদীর তীরে’, ‘জোর করে ভালোবাসা হয় না’, ‘তোমার মাঝে আমি’, ‘ঢাকা টু বোম্বে’, ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’, ‘এক জবান’, ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘বধূবরণ’, ‘ময়দান’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘প্রিয়জন’, ‘সুজন সখী’ প্রভৃতি।