বাংলা সিনেমার স্বার্থে ঝুঁকি নিয়েই প্রথম ছবি মুক্তি দিতে চান নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। ছবিটি মুক্তি দিতে চান উল্লেখ করে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘এই করোনাকালে যদি সিনেমা হল খোলে, তাহলে নতুন ছবি নিয়ে কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। এই সময় সিনেমা হলে নতুন ছবি মুক্তি না দিলে আমাদের চলচ্চিত্রশিল্প কী করে ঘুরে দাঁড়াবে! আমি সেই ঝুঁকিটা নিতে ইচ্ছুক।’
তবে এই সময় তিনি শর্ত জুড়ে দেন, সামাজিক যোগাযোগের তাঁর শেয়ার করা অফিশিয়াল ট্রেলারের পোস্টটি যদি লাখখানেক মানুষের ওয়ালে শেয়ার হয়, তাহলেই তিনি সিনেমা হল খোলার সঙ্গে সঙ্গে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ ছবিটি মুক্তি দেবেন।
এক লাখ শেয়ারের বিষয়টি জানতে চাইলে নির্মাতা জানান, নির্মাতা হিসেবে তিনি দর্শকের জন্য ছবি বানান। সেই দর্শক যদি ছবির দায়িত্ব না নেন, তাহলে তিনি কেন ছবি বানাবেন। এ জন্যই তিনি চান তাঁর পোস্টটি যদি এক লাখ মানুষ শেয়ার দেয়, তাহলেই তিনি ঝুঁকি নেবেন। এই সময় তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব হচ্ছে ভালো ছবি বানানো। আমার ছবি দেখে যদি দর্শক বলেন ছবিটি ভালো হয়নি, হতাশ হয়েছি, তাহলে আমি কারওয়ান বাজারের মোড়ে দর্শকের সামনে কান ধরে উঠবস করব। দর্শকদের বলব, আমি খারাপ ছবি বানাইছি।’
এই সময় তিনি আরও জানান, তিনি তাঁর দায়িত্ব থেকে দর্শকদের জন্য ভালো ছবি বানিয়েছেন। মানুষ যদি অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস শেয়ার দিয়ে ভাইরাল করতে পারে, তাহলে দর্শক ভালো জিনিস কেন ভাইরাল করবেন না। দর্শকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দর্শক শুধু বলেন ভালো ছবি হচ্ছে না, কিন্তু দর্শক কেন একটি ভালো ছবিকে সহযোগিতা করবেন না। তাঁদের কি কোনো দায়িত্ব নেই?’
‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ ছবিটির নির্মাতা আরও বলেন, ‘অনেকেই বলেন, “ভাই, আপনার ছবি সিনেমা হলে দেখতে চাই।” তাঁদের আবেগের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, আপনারা এক লাখ শেয়ার দেন, তাহলেই আমি ঝুঁকি নেব। আমি বুঝব এক লাখ মানুষ এটি দেখছে। তাহলেই আমি লগ্নির ঝুঁকিটা নিতে পারি। কারণ, দিন শেষে এটা শুধু কাজের ঝুঁকি না, টাকারও ঝুঁকি।’ গত ১৩ মার্চে ছবিটি সিনেমা হলে মুক্তির কথা ছিল, কিন্তু করোনার প্রকোপের কারণে নির্মাতা মুক্তির তিন দিন আগে তা স্থগিত করেন।
ছোট পর্দায় দেড় যুগ ধরে সফলতার সঙ্গে নাটক, টেলিছবি নির্মাণ করে নির্মাতা ২০১৭ সালে অক্টোবরে দৃশ্য ধারণ শুরু করেন ছবিটির। বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন সিনেমার কাজ আটকে থাকায় এ বছরের শুরুর দিকে ছবিটি মুক্তির জন্য প্রস্তুত হয়। ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও শার্লিন ফারজানা। পরিচালনার পাশাপাশি ছবিটির কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য, শিল্পনির্দেশনা ও সংগীত পরিচালনা করছেন মাসুদ হাসান নিজেই।