হাসপাতালে ডোনাল্ড ট্রাম্প

হাসপাতালে ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এপি জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন হাসপাতালে কাটাতে হবে তাকে।

 

আগে থেকেই হোয়াইট হাউসের লনে অপেক্ষমান প্রেসিডেন্সিয়াল হেলিকপ্টার মেরিন ওয়ানে করে হাসপাতালে যান ট্রাম্প। নিজেই হেঁটে হেলিকপ্টারে ওঠেন তিনি। ইতোপূর্বে মাস্ক পরায় প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করলেও এদিন হাসপাতালে যাওয়ার পথে তিনি নিজেও মাস্ক পরিধান করেন।

হেলিকপ্টারে ওঠার আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন ট্রাম্প। থাম্বস আপ প্রতীকও প্রদর্শন করেন। তবে এ সময় তিনি কোনও কথা বলেননি। সরাসরি গিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বসেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পকে বহনকারী হেলিকপ্টার হাসপাতালে পৌঁছেছে। তবে এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ট্রাম্প বলেন, আমাকে অভূতপূর্ব সমর্থন দেওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে যাচ্ছি। আমি মনে করি আমি খুব ভালো আছি। সবকিছু ঠিক আছে; এটা নিশ্চিত হতেই সেখানে যাচ্ছি। ফার্স্ট লেডিও যথেষ্ট ভালো আছেন।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হাসপাতালে পাঠানোর আগে ট্রাম্পকে পরীক্ষামূলক অ্যান্টিবডি দেওয়া হয়। পরে বাড়তি সাবধানতার অংশ হিসেবে তাকে ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ও স্বনামধন্য সামরিক হাসপাতালগুলোর একটি। মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সাধারণত এখানেই তাদের বার্ষিক চেকআপ করিয়ে থাকেন।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কিছুটা ক্লান্ত থাকলেও প্রেসিডেন্ট মানসিকভাবে শক্ত রয়েছেন। সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, করোনা শনাক্ত হলেও ট্রাম্পের শরীরে খুব বেশি জ্বর নেই। তার হালকা জ্বর রয়েছে।

হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাড়তি সতর্কতা ও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আগামী কয়েক দিন ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টার থেকেই কাজ করবেন। নিজের ও ফার্স্ট লেডির শুভকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হোপ হিকসের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ট্রাম্প দম্পতি প্রথমে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কিছুক্ষণ পর তাদের পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসার ঘোষণা দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার ওহাইও-র ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে যোগ দিতে ট্রাম্পের সঙ্গে একই বিমানে ভ্রমণ করেন হোপস। ওই বিতর্কে অংশ নেওয়া ট্রাম্প পরিবারের আরও কয়েক সদস্যকে মাস্ক বিহীন অবস্থাতে দেখা যায়। তবে স্ত্রী মেলানিয়া ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যদের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।

হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস জানিয়েছেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট আশাবাদী। তিনি এবং ফার্স্ট লেডি উভয়েরই মনোবল চাঙ্গা রয়েছে।

এদিকে গত কয়েক দিনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংস্পর্শে আসা সবাইকে শনাক্ত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।