শনিবার (১০ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অভিনেতা ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল। সেখানে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে দেশের নারীদের পোশাককেও ধর্ষণের জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন। তার মতে, শালীন পোশাক পরা নারী কখনোই ধর্ষণের শিকার হয় না। পোশাক ভালো না হলে তার শরীর-ফিগার দেখে বাজে স্বভাবের লোকজন ধর্ষণের উসকানি পায়।
সেই বক্তব্যের জন্য আজ দারুণভাবে সমালোচিত হন তিনি। তার ভিডিও শেয়ার করে অনেকেই
প্রতিবাদ জানান। একজন অভিনেতার কাছ থেকে এমন মন্তব্য হতাশাজনক বলে দাবি করেন তারা।
অবশেষে সেই প্রতিবাদ ও সমালোচনার মুখে নিজের ভিডিওতে সংশোধন এনেছেন অনন্ত জলিল। প্রথমে পোস্ট করা ভিডিওতে নারীর পোশাক সংক্রান্ত সব মন্তব্য মুছে দিয়েছেন। সেটি সম্পাদনা করেছেন। ৬ মিনিটের ভিডিও এখন ৩ মিনিটের। এটিও নতুন করে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেন, আমি কোন বিতর্কে জড়াতে চাইনা তাই আমি উক্ত বিষয়টি কারেকশন করে দিলাম। কেউ ভুল বুঝে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
অনন্ত আরো লিখেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ধর্ষণ, বিশেষ করে শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যার মতো ঘৃণ্য অপরাধ বেড়েই চলেছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত অপরাধীর দ্রুততম সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার বিকল্প কিছু নেই।পরিবারের দায়িত্ব নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা। নারী-পুরুষ উভয়েই পরিবার ও সমাজের জন্য অনিবার্য। পরিবার টিকিয়ে রাখার জন্য যেমন নারী-পুরুষের সম্মিলিত উদ্যোগ, পরিকল্পনা, ত্যাগ ও সংযমের প্রয়োজন। একজনকে উপেক্ষা করে বা বাদ দিয়ে কেবল পুরুষ কিংবা নারীর পক্ষে বেশিদূর এগোনো সম্ভব নয়। তাই আমরা চাই নারী-পুরুষের সৌহার্দ্যপূর্ণ সমঝোতামূলক সম্পর্ক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক।