বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অভিনেতা, বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানের আজ ৫৫তম জন্মদিন।
১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা। হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে শাহরুখ ভর্তি হন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় গণযোগাযোগ বিষয়ে। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরুর লক্ষ্যে ছেড়ে দেন প্রতিষ্ঠানটি। অভিনয় পাঠগ্রহণ করেন দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতে।
নানা উন্থান-পতনের মধ্য দিয়ে আজকের এ অবস্থানে এসেছেন শাহরুখ খান। নিজের জন্মদিনে তাই নিয়ম করে দেখা দেন ভক্তদের। শাহরুখের বাড়ি মান্নাতের সামনে জন্মদিনে ভিড় করে অসংখ্য ভক্ত। বাড়ির বারান্দা থেকে হাত নাড়িয়ে ভক্তদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন এ হিরো। কিন্তু করোনার কারণে এবার তা হচ্ছে না। জন্মদিনে তেমন কোনো আয়োজন থাকছে না বলিউড বাদশার। এমন আভাসই পাওয়া গেছে তার টুইটার সূত্রে।
টুইটারে এক ভক্ত শাহরুখের এবারের জন্মদিনের আয়োজন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মান্নাতের সামনে কোনো প্রকার ভিড় করতে দেবে না পুলিশ। তাই এ পরিস্থিতিতে শাহরুখের বাড়ির সামনে ভিড় না করতে ভক্তদের অনুরোধ করেন তিনি।
অভিনেতা হিসেবে কিং খানের পথচলার শুরু ১৯৮৯ সাল থেকে। ‘ফৌজি’ টিভি সিরিজ দিয়ে শুরু হওয়া এই যাত্রায় আরো কয়েকটি টিভি ধারাবাহিক তার শুরুর দিকের অভিজ্ঞতার খাতায় নাম লেখায়।
বলিউডে তার অভিষেক হয় ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ ছবির হাত ধরে। আর তাতেই কেল্লা ফতেহ! এ ছবিতে তার দুর্দান্ত কাজের জন্য অর্জন করেন সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। ‘চমৎকার, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গেয়া জেন্টলম্যান’এর মতো ছবিতে অভিনয় করে সবার নজর কাড়েন তিনি। ঠিক তার পরের বছরই ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ ছবিতে নিজের অভিনয়ের জাদু দিয়ে সবাই মুগ্ধ করে ঘর করে নেন দর্শকের মনে, পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের ছবিতে ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট ছবি দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ।
৫৫ বছর বয়সী এ অভিনেতা মোট চৌদ্দবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। তার মধ্যে আটবারই সেরা অভিনেতার। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন মোট পাঁচবার।