ডিসেম্বরের শেষে লন্ডন যাচ্ছি শুনে অনেকেই আঁতকে উঠে বলেছিলেন -“ওই ঠান্ডায় !!”
হ্যাঁ, ঠান্ডা আছে। প্রবল ঠান্ডা। কিন্তু বড়দিন আর প্রাকনববর্ষ উৎসবে মেতে ওঠা শীতমোড়া লন্ডন যে আলোকসজ্জায় কী অপূর্ব সুন্দরী, এটা না দেখলে মিস করতাম।
পেশায় আইনজীবী। কোর্ট সামলে ছুটিছাটা বার করাও কঠিন। তার মধ্যে সপরিবার সবান্ধব লন্ডন সফর। এমিরেটসের বিমানে এলাম। কলকাতা থেকে দুবাই হয়ে লন্ডন।
ব্যাপক ঠান্ডা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার। সর্বত্র ছুটি আর উৎসবের মেজাজ। শীত হলেও পর্যটক প্রচুর। স্থানীয় মানুষও রাস্তায়। অক্সফোর্ড স্ট্রিট, ট্রাফালগার স্কোয়ার, পিকাডেলি সার্কাস তো বটেই, প্রতিটা রাস্তা, দোকান, মল সেজে উঠেছে। নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলগুলির বাইরেও গোটা শহরটা দ্রষ্টব্য হয়ে উঠেছে। প্রাকবড়দিন রাতে ঘুরতে ঘুরতে বুঝলাম উৎসবের উষ্ণতায় পরাজিত শেষ ডিসেম্বরের শীত। আলো, বাদ্যযন্ত্র, গানের শব্দে মাতোয়ারা লন্ডন।ঢালাও খানাপিনা। রাতে প্রার্থনা। গীর্জার ঘন্টাধ্বনি। টেমসের বুকে ক্রুজগুলোতে আলো, সুরের পার্টির মোচ্ছব। জীবনে যে নানা কঠিন মুহূর্ত আসে, থাকে, এরকম একটা রাত বোধহয় সব ভুলিয়ে দিয়ে যায়। লন্ডন শহরটার গঠনতন্ত্রের সাবেকি বনেদিয়ানার সঙ্গে ঐতিহ্যের উৎসব মিশে অপূর্ব অনুভূতির জন্ম দিচ্ছে।
আপাতত কটা দিন আমরা এখানেই। শুনে আসা লন্ডন আর দেখতে থাকা লন্ডনের মধ্যে থেকে নতুন আবিষ্কারের চেষ্টা করব।