৩৫ বছর পর প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখবে সৌদি আরব এর মানুষ

৩৫ বছর পর প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখবে সৌদি আরব এর মানুষ

গত 35 বছরে সৌদি আরবের মানুষ কি একেবারেই সিনেমা দেখতে পাননি? বিষয়টা ঠিক তা নয়। সৌদি আরব এই দীর্ঘ সময়সীমায় বঞ্চিত ছিল প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখায়। ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রকাশ্যে সিনেমা দেখা! এছাড়াও নারী ও পুরুষের একত্র অবস্থানের প্রশ্নেও তালা ঝুলেছিল প্রেক্ষাগৃহের ফটকে।

সেই ছবি এবার বদলে যেতে চলেছে আমূল। নতুন করে ফের খুলতে চলেছে সৌদি আরবের পুরোনো প্রেক্ষাগৃহগুলি। সোমবার এই কথা জানিয়েছেন সেদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী অওয়াদ বিন সালেহ অলাওয়াদ।

জানা গিয়েছে, 32 বছর বয়সি সৌদি আরবের এই যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনে কোনওরকম রক্ষণশীলতার পক্ষপাতী নন। তাঁর উদ্যোগেই দেশে এখন লেগেছে সংস্কারের হাওয়া। যা কিছু অপ্রাসঙ্গিক, যা কিছু উন্নয়ন ও আধুনিকতার পরিপন্থী, সেই সব কিছুকেই বর্জন করে বিশ্ব দরবারে নতুন এক ভাবমূর্তিতে দেশকে উপস্থাপিত করতে চাইছেন তিনি।

পাশাপাশি রয়েছে অর্থনৈতিক দিকটাও। সেই বিষয়য়টি ধরিয়ে দিয়েছেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী অলাওয়াদ তাঁর বিবৃতিতে। “সত্যি বলতে কী, সিনেমা হল থাকা এবং নিয়মিত ছবির প্রদর্শন দেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকেও সমৃদ্ধ করবে। একই সঙ্গে তা দেশের সংস্কৃতিতে আনবে বৈচিত্র্য”, জানিয়েছেন তিনি।

সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বছরের মার্চ মাস থেকেই ছবি দেখানোর জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে সৌদি আরবের বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরনো প্রেক্ষাগৃহগুলি। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী অলাওয়াদ বলেছেন, “তবে এখানেই শেষ নয়। আমরা দেশে 300টি নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। ইচ্ছা আছে, মোট 2000টি স্ক্রিন ছবি দেখার জন্য চালু করা”।