কিছু দিন আগেই পল্লবী থেকে বিদিশা একাধিক অভিনেত্রীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই ঘটনা ঘটল। ভুবনেশ্বরে বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হলো ওড়িয়া অভিনেত্রী রশ্মিরেখা ওঝার লাশ। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।
ভুবনেশ্বরের নায়াপল্লী এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ২৩ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ। পাশাপাশি সেই ঘর থেকেই উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। মেয়ের আত্মহত্যা কোনোমতেই মেনে নিতে পারছেন না অভিনেত্রীর বাবা। মেয়ের মৃত্যুর জন্য লিভ ইন পার্টনার সন্তোষ পাত্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অভিনেত্রীর বাবা। ইতোমধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশের জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে, পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক রিপোর্টে এটি আত্মহত্যাই বলে দাবি পুলিশের।
সুইসাইড নোটে নিজের মৃত্যুর জন্য কাউকেই দায়ী করেননি অভিনেত্রী। রশ্মিরেখার বাবা সংবাদমাধ্যমে বলেন, তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য তার বয়ফ্রেন্ডই দায়ী। শনিবার বাবার ফোন রিসিভ করেননি অভিনেত্রী। এর পর সন্তোষই রশ্মিরেখার মৃত্যুর খবর অভিনেত্রীর পরিবারকে জানায়।
স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়েই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন রশ্মি ও সন্তোষ, এমনটিই জানান বাড়ির মালিক। ওড়িয়া ধারাবাহিকে অভিনয় করেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন রশ্মিরেখা। ভারতের বিনোদন জগতে একের পর এক দুঃসংবাদ শোনা যাচ্ছে।