স্পেন ও ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রদ্রি জিতেছেন ২০২৪ সালের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। গত বছর জুলাইয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো লুইস সুয়ারেজের পর দ্বিতীয় স্প্যানিশ হিসেবে ছেলেদের বর্ষসেরার এই ট্রফি জিতলেন রদ্রি।স্পেনের কোনো খেলোয়াড় ৬৪ বছর পর এই প্রথম ছেলেদের ব্যালন ডি’অর জিতলেন। রদ্রির আগে কোনো স্প্যানিশ এই পুরস্কার সর্বশেষ জিতেছিলেন ১৯৬০ সালে।
তার এই অর্জন ঘোষণা করেন লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ১৯৯৫ সালের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবল কিংবদন্তি জর্জ উইয়াহ। পুরস্কার গ্রহণের সময় রদ্রিকে ক্রাচে ভর দিয়ে মঞ্চে উঠতে দেখা যায়। এ সময় তার আবেগপ্রবণ চেহারা দেখে বুঝা যায়, এই মুহূর্তটি তার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পুরস্কার নিয়ে তার ভাষ্য ছিল, ‘আমার পরিবার, আমার দেশ ও আমার জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত বিশেষ।"
পাশাপাশি রদ্রি ধন্যবাদ জানান তার প্রেমিকা লরাকে, কারণ এই দিনটি তাদের অষ্টম বার্ষিকীর বিশেষ দিনও ছিল। তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের বার্ষিকী, এই পৃথিবীতে সে-ই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
২০০৬ সালের ফাবিও কানাভারোর পর তিনিই প্রথম ডিফেন্সিভ খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতলেন এবং প্রিমিয়ার লিগের সাত নম্বর খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার অর্জন করলেন।
গত জুলাইয়ে স্পেন ইউরো জেতার পর স্পেনের কোচ ফুয়েন্তে বলেছিলেন, ব্যালন ডি’অরটা এখনই রদ্রিকে দিয়ে দেওয়া হোক। তাতে ব্রাজিলের সমর্থকেরা হয়তো একগাল হেসেছিলেন। কারণ, প্রায় আর সবার মতোই তাঁদেরও ভাবনা ছিল, এবার ব্যালন ডি’অরে ‘ইশকাপনের টেক্কা’ তো তাঁদের ঘরের ছেলে ভিনিসিয়ুস।
যে রাতটা রদ্রির কাছে হয়তো ঠিক স্বাভাবিক নয়। ১৮ বছর আগে সেই ফাবিও কানাভারোর পর প্রথম ডিফেন্সিভ খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতলেও সব আলো তাঁর ওপর পড়বে কেন? মাঠে তো এমন হয়নি কখনো! এসব রাতের সঙ্গে যেসব তারকা পরিচিত কিংবা অভ্যস্ত রদ্রি ঠিক তেমন ধাঁচের নয়। সেরার মঞ্চে দাঁড়িয়েও রদ্রির মুখ ফুটে তাই বের হয়, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেই। লোকে আমাকে তেমন একটা চেনে না। আমি সাধারন একজন। খেলা উপভোগ করি। নিজের কাজটাও। ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি। শান্ত মানুষ।’