পাকিস্তানের এই কণ্ঠশিল্পী উর্দুর পাশাপাশি হিন্দি, পাঞ্জাবি, বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন। গলা দিয়েছেন ভারতীয় সিনেমার কিছু বিখ্যাত গানে। সারা বিশ্বে তাঁর সুরের ভক্ত ছড়িয়ে আছে। ইউটিউব ও সামাজিক মাধ্যমেও তরুণ-তরুণীরা তাঁর গান নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও, স্টোরি ও রিলেও তাঁর গান ঘুরছে।
নিজের মাতৃভাষার বাইরে অন্য ভাষায় গান গেয়ে এবং দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে পৌঁছে গেছেন—এর কারণ কী? কেন তাঁর গান তরুণদের এত প্রিয়? আর আতিফ আসলাম কেনই–বা এত জনপ্রিয়?
১৯৮৩ সালের ১২ মার্চ পাকিস্তানের ওয়াজিরাবাদে আতিফের জন্ম। বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করা এই গায়ক ক্যারিয়ার তৈরি করতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটে। চার-ছক্কা আর উইকেট দিয়ে মানুষের মন জয় করার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কিন্তু সব স্বপ্ন পূরণ হয় না। আতিফ যদি ক্রিকেটার হতেন, জনপ্রিয় হতে পারতেন কি? হয়তো পারতেন, হয়তো পারতেন না।
রণবীর কাপুর-ক্যাটরিনা কাইফের জুটি নিয়ে ‘আজব প্রেম কি গজব কাহানি’ সিনেমার ‘তেরা হোনে লাগা হুঁ’ এবং ‘তু জানে না’ গান দুটি গেয়েছেন আতিফ আসলাম। এক যুগেরও বেশি সময় পরও গানগুলোর জনপ্রিয়তায় এখনো কমে যাইনি। একই সিনেমায় এক শিল্পীর দুটি গান এত জনপ্রিয় হবার কারণ কী? কী এই বৈচিত্র্য। যদিও পরপর শুনলে গান দুটির মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে দুটিতেই আলাদা এক সত্তা আছে। ভিন্ন স্বরে ওঠানামার দোলা রয়েছে।
‘তেরা হোনে লাগা হুঁ’ গানটি শুনলে যে মুগ্ধতা সৃষ্টি হয়, ‘তু জানে না’ গানটি শুনেও মুগ্ধতার অনুভূতি বদলায় না, কিন্তু তার কারণ ভিন্ন। কারণ, প্রথম গানটিতে আছে আনন্দের সৌন্দর্য, আর দ্বিতীয়টিতে রয়েছে বিষাদের। এই আনন্দ ও বেদনার সৌন্দর্যকে কণ্ঠে ধারণ করে গানগুলোকে আত্মস্থ করতে পারার কারণেই কি আতিফের গান এত ভালো লাগে?
‘লেটস ভাইব আর্ট অ্যান্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল’ শিরোনামের উৎসবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঢাকার মঞ্চ মাতিয়েছিলেন আতিফ। আবারও ঢাকার মঞ্চ মাতাতে আসছেন তিনি। জানা গেছে, আগামী ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টে তিনি অংশ নেবেন।